মারডকের মিডিয়া সংস্থাকে `অযোগ্য` বলল ব্রিটিশ সংসদীয় কমিটি
ব্রিটিশ সংসদীয় কমিটি তাদের রিপোর্টে রুপার্ট মারডকের `নিউজ কর্পরেশন` কে ব্রিটেনে কাজ করার `অযোগ্য` বলেছে। কালবিলম্ব না করেই তার উত্তরে নিজের সংস্থার কর্মীদের মারডক বলেন আরও বেশি শক্তি নিয়ে বাজারে ফিরবে `নিউজ কর্প`।
ব্রিটিশ সংসদীয় কমিটি তাদের রিপোর্টে রুপার্ট মারডকের `নিউজ কর্পরেশন` কে ব্রিটেনে কাজ করার `অযোগ্য` বলেছে। কালবিলম্ব না করেই তার উত্তরে নিজের সংস্থার কর্মীদের মারডক বলেন আরও বেশি শক্তি নিয়ে বাজারে ফিরবে `নিউজ কর্প`।
বিবিসি জানিয়েছে কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো একটি ইমেলে মারডক সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের বিভিন্ন অংশকে `একপেশে` এবং `পক্ষপাতদুষ্ট` বলেও অবিহিত করেন।
তাঁর মতে সংস্থার নিজস্ব `ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড` কমিটির তদন্ত রিপোর্টে `দ্য টাইমস` এবং `দ্য সানডে টাইমস`-এর অভ্যন্তরে কোনও অনৈতিক কাজের উদাহরণ পাওয়া যায়নি। একই সংস্থার অপর একটি ট্যাবলয়েড `দ্য সান` নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি তদন্ত কমিটি।
রুপার্ট মারডকের ব্রিটিশ মিডিয়া সাম্রাজ্যের অন্যতম কান্ডারি ট্যাবলয়েড `নিউজ অফ দ্য ওয়র্ল্ড`-এর বিরুদ্ধে টেলিফোনে আড়ি পাতা সহ আরও বেশ কিছু অনৈতিক কাজের অভিযোগ ওঠায় গত বছরই উত্তাল হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক মিডিয়া। সেই বিতর্কের জেরেই ১০ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় ১৬৮ বছরের এই সংবাদপত্রটি। ঘটনার আঁচ পড়ে দেশের পার্লামেন্টেও। সাংসদদের নিয়ে গঠিত হয় ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সোমবার তদন্ত কমিটি তাদের বহু প্রতিক্ষীত রিপোর্টটি পেশ করে। সেখানেই রুপার্ট মার্ডককে আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালনায় `অক্ষম` বলা হয়েছে। রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়েছে অভিযুক্ত সংবাদপত্রটির কর্তৃপক্ষরা `স্বেচ্ছায়` এই গুরুতর অভিযোগ থেকে `দৃষ্টি ফিরিয়ে রেখেছিলেন`।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই `দ্য সান অন সানডে` নামে অপর একটি ট্যাবলয়েড বাজারে আনে রুপার্ট মার্ডকের সংস্থা। নতুন এই পত্রিকাটিকে `নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ডে`-এরই পরিবর্ত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।