অবিশ্বাস্য! মানুষ এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে কোথাও তৈরি করতে পারল অক্সিজেন!
এই প্রথম মঙ্গলে তৈরি হল অক্সিজেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন: না, আর কীসের চিন্তা! এবার অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে মঙ্গলগ্রহেও!
মঙ্গলের (mars) বুকে একের পর এক মাইলফলক অর্জন করছে পারসিভারেন্স। তৈরি হচ্ছে ইতিহাস। এবার মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদনের কথা ঘোষণা করল নাসা (nasa)। ফলে পৃথিবীর বাইরে এই প্রথম কোনও গ্রহে অক্সিজেন (Oxygen) উৎপাদন করল মানুষ।
১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে পারসিভারেন্স (Perseverance)। বিজ্ঞানীরা পারসিভারেন্সের সঙ্গে মক্সি (দ্য মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট) নামে একটি যন্ত্র পাঠান মঙ্গলে। পারসিভারেন্সের সামনের দিকে ডান পাশে ১৭.১ কিলোগ্রাম ভরের এই যন্ত্রটি লাগানো ছিল। উদ্দেশ্য মঙ্গলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে অক্সিজেন উৎপাদন করা। সেই সম্ভাবনা এবার বাস্তবে পরিণত হল।
আরও পড়ুন: অচিরেই পৃথিবীর গা ঘেঁষে ছুটে যাবে ফুটবল মাঠের আকারের এক গ্রহাণু!
মঙ্গলের (Red Planet) বায়ুমণ্ডলে শতকরা ৯৬ ভাগ কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ওখানে অক্সিজেন তৈরি করতে এই কার্বন-ডাই-অক্সাইডকেই রিসোর্স হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রটি প্রথমবার ৫ গ্রাম অক্সিজেন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ অক্সিজেন দিয়ে একজন নভোচারী মঙ্গলের বুকে প্রায় ১০ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন! তবে মক্সি এই হারেই অক্সিজেন উৎপাদন করে চলবে না। এটা ছিল প্রথম ধাপ। নাসার গবেষকেরা জানান, মক্সিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে সে ঘণ্টায় ১০ গ্রাম অক্সিজেন তৈরি করে।
মঙ্গলে অক্সিজেন (Oxygen) উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ কেন? প্রথমত, মানুষ ভবিষ্যতে মঙ্গলে পৌঁছলে এই অক্সিজেন সে ব্যবহার করতে পারবে। পৃথিবী থেকে অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার দরকার হবে না। দ্বিতীয়ত, রকেটের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা যাবে এই অক্সিজেন। এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে যে প্রযুক্তি আছে, সেগুলি ব্যবহার করে শুধু মঙ্গলে পৌঁছনো যাবে। সেখান থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা যাবে না। সুতরাং, ভবিষ্যতে এই অক্সিজেন জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করে পৃথিবীতে ফিরে আসাও সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে মঙ্গল থেকে জ্বালানী নিয়ে আরও দূরের কোনও গ্রহে যাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলের লাইভ ভিডিও পাঠল ভারতের মঙ্গলযান