Reckoning with the Past: ব্রিটেন থেকে তাহলে এবার সত্যিই ফিরছে কোহিনুর?
Reclaiming the Kohinoor Diamond: ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের সময় ব্রিটেনের লুঠ করে নিয়ে যাওয়া কোহিনুর হিরে এবং হাজার হাজার অন্যান্য ধনরত্ন পুনরুদ্ধারের জন্য শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনা শুরু করবে ভারত। ব্রিটেন থেকে তাহলে এবার সত্যিই ফিরছে কোহিনুর?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফারসিতে 'কোহ-ই-নূর'। কিন্তু বাংলায় ওটা হাইফেন ও দীর্ঘ-উ বর্জিত 'কোহিনুর'। ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোত। বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ব্রিটিশদের থেকে পাকাপাকি ভাবে এই ঐতিহ্যশালী হিরেটি এবার ফেরত চাইবে ভারত। এমনও শোনা গিয়েছে, এই প্রসঙ্গ মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না ব্রিটেন, তারা বিশেষ উচ্চবাচ্যও করছে না। কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, মোদীর ভারত এবার সরাসরি ওই হিরে ফেরত চাইবে ব্রিটেন থেকে। জানা গিয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের সময় ব্রিটেনের লুঠ করে নিয়ে যাওয়া কোহিনূর হিরে এবং হাজার হাজার অন্যান্য ধনরত্ন পুনরুদ্ধারের জন্য শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনা শুরু করবে ভারত।
আরও পড়ুন: New Jersey: মহাকাশ থেকে বাড়ির ছাদ ভেঙে ঘরে এসে পড়ল এ কী রহস্যময় বস্তু!
এই কূটনৈতিক অভিযানের একটি নামও দেওয়া হয়েছে-- 'রেকনিং উইদ দ্য পাস্ট'। শনিবার, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন বলেছেন, 'এটা সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ব্যক্তিগত ভাবে ভারতের এই নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁরও কাছে এটা অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।'
প্রাচীন ভারতীয় এই নিদর্শনগুলির কিছু যুদ্ধের লুণ্ঠনবস্তু হিসেবে নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশেরা। লন্ডনে যে ভারতীয় কূটনীতিকরা আছেন, তাঁরাই বিভিন্ন ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সব নিদর্শন ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন বলে জানা গিয়েছে। আর এই বছরই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন: Cyclone Mocha: ভয়ংকর! ঘণ্টায় ২৩০ কিমি গতিতে তাণ্ডব চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়...
১৮৪৯ সাল থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দখলে রয়েছে কোহিনুর হিরে। ১০ বছর বয়সী মহারাজা দলীপ সিং-কে লাহোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে একরকম বাধ্য করেছিল ব্রিটিশ সরকার। আর সেই চুক্তির মাধ্যমেই কোহিনুরের দখল নিয়েছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার। রানি ভিক্টোরিয়া একটি ব্রোচ হিসেবে হিরেটি পরতেন। পরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময় তাঁর মুকুটের অন্যতম রত্ন ছিল এই কোহিনুর। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সময়েই একবার কোহিনুর ফেরানোর আওয়াজ উঠেছিল। তবে বিতর্ক আর না বাড়াতেই মুকুটে কোহিনুর না রাখার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয় রাজপরিবার। এটির বর্তমান মালিক রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে, রাজা চার্লস বা তাঁর স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার মুকুটে কোহিনুর রাখা হয়নি।
যদিও ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের দাবি, কোহিনুর হিরে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন, এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তরিত হয়েছিল। এখনও ব্রিটিশ ইতিহাস স্বীকার করেনি যে, এক ১০ বছরের বালকের কাছ থেকে এটি একরকম লুঠ করেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ভারতীয় ঐতিহাসিকরা ইতিমধ্যেই প্রমাণ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন কোহিনুরের আসল কিসসা।