হারলে ট্রাম্পকে ঘাড় ধরে বের করে দেব হোয়াইট হাউস থেকে: জো বাইডেন
পরাজিত হলে হার স্বীকার করে হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তো ট্রাম্প?
নিজস্ব প্রতিবেদন: এমনটা আমরা উপমহাদেশের বাতাসেই শুনতে অভ্যস্ত। কিন্তু খোদ আমেরিকাতেও রাজনীতির ভাষা এত মেঠো হয়! জো বাইডেন প্রমাণ করে দিলেন, হয়।
কী হয়েছে?
জো বাইডেন হুমকি দিয়ে রেখেছেন, হারার পরেও ট্রাম্প হোয়াইট হাউস না ছাড়লে তাঁকে ঘাড় ধরে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেবেন তিনি!
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গণনা শেষ পর্যায়ে ৷ ফলের ট্রেন্ডে মোটামুটি স্পষ্টই, এরপর কে বসবেন হোয়াইট হাউসের চেয়ারে ৷
ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার দোরগোড়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৷ আর একটি রাজ্য জিতলেই, চূড়ান্ত ঘোষণা ৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ইতিহাস গড়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলেছেন বাইডেন ৷
এ দিকে হারের আশঙ্কায় ক'দিন ধরেই সব দাবি তুলছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কখনও বলছেন, গণ-কারচুপি হয়েছে; কখনও বলছেন ভোট গায়েব হয়েছে; কখনও আবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন; কখনও গণনা বন্ধ করানোর ফিকিরও তুলছেন ৷ এ সব দেখে একটা প্রশ্নই ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে, পরাজিত হলে হার স্বীকার করে শেষমেশ হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তো ট্রাম্প?
কুছ পরোয়া নেই। জো বাইডেন হুমকি দিয়েই রেখেছেন যে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস না ছাড়লে তাঁকে ঘাড় ধরে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেবেন তিনি!
সত্যিই কি সেটা সম্ভব?
আমেরিকার নিয়ম বলছে, দ্বিতীয়বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কোনও আমেরিকান রাষ্ট্রপতি যদি ভোটে হেরে যান, তা হলে তাঁকে ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে হারাতে হয় হোয়াইট হাউসও৷ তবে কেউ যদি তা করতে অস্বীকার করেন, সে ক্ষেত্রে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সিক্রেট সার্ভিসের হাতেই চলে যাবে বিষয়টি৷
নিয়ম বলছে, পরাজিত হওয়ার পরেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যদি হোয়াইট হাউস ছাড়তে না চান, তা হলে তাঁকে হোয়াইট হাউসের সীমানার বাইরে বার করার জন্য মাঠে নামবে সিক্রেট সার্ভিস ৷ আর তাঁদের এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিতে পারেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ৷
তবে এ-ও ঠিক, আজ পর্যন্ত এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাই এমন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে আমেরিকান সংবিধানে কিছু লেখা হয়নি ৷ তবে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যেহেতু সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধীন হন, সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারেও তিনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷