মায়ের মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে আগেই, জীবনদায়ী ব্যবস্থায় স্ত্রীর হৃদযন্ত্র কৃত্রিম উপায়ে চালিয়ে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা এক লড়াকু বাবার

১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করলেন এক কানাডিয়ান ব্যক্তি। জীবনদায়ী ব্যবস্থায় তাঁর স্ত্রীর নিশ্বাসপ্রশ্বাস টিকিয়ে রাখতে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্ত্রীর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর গর্ভস্থ সন্তানটির হৃদস্পন্দন এখনও বজায় আছে। সেই সন্তানের জন্ম নিশ্চিত করতেই স্ত্রী কার্যত মৃত জেনেও জীবনদায়ী ব্যবস্থায় তাঁর হৃদযন্ত্রটি সচল রাখার চেষ্টা করে চলেছেন ডিলান বেনসন।

Updated By: Feb 7, 2014, 07:02 PM IST

১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করলেন এক কানাডিয়ান ব্যক্তি। জীবনদায়ী ব্যবস্থায় তাঁর স্ত্রীর নিশ্বাসপ্রশ্বাস টিকিয়ে রাখতে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্ত্রীর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর গর্ভস্থ সন্তানটির হৃদস্পন্দন এখনও বজায় আছে। সেই সন্তানের জন্ম নিশ্চিত করতেই স্ত্রী কার্যত মৃত জেনেও জীবনদায়ী ব্যবস্থায় তাঁর হৃদযন্ত্রটি সচল রাখার চেষ্টা করে চলেছেন ডিলান বেনসন।

তারিখটা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরের ২৮। কানাডার ভিক্টোরিয়ার বছর ৩২ -এর রবিন বেনসন যখন ২২ সপ্তাহের গর্ভবতী তখন একদিন হঠাৎই তাঁর স্বামী ডিলান অচৈতন্য অবস্থায় রবিনকে বাড়ির মধ্যেই উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি রবেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডিলান জানতে পারেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রবিনের মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তখনও রবিনের গর্ভে নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠছে তাঁদের ভালবাসার সন্তান। এরপর থেকেই যুদ্ধ শুরু। জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয় রবিনকে।

রবেন আর ডিলানের সন্তান এখন মায়ের গর্ভে ২৭ সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছে। ডিলান জানতে পেরেছে রবিন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। আগে থেকেই দু`জন তাঁদের সন্তানের নাম ঠিক করে রেখেছিলেন। আইভার। আইভার এখন এতটাই বড় হয়ে গেছে যে মাতৃগর্ভ ছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থায় পৃথিবীর আলো দেখতে স্বক্ষম।

কিন্তু রবিনও বোধহয় পণ করেছিলেন। নিজেই তাঁর সন্তানকে এই সুন্দর পৃথিবীর সদস্য করে যাবেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন জীবনদায়ী ব্যবস্থায় তাঁর হৃদপিণ্ড দিব্যি কাজ করে চলেছে। ফলে মায়ের গর্ভেই পরম আদরে বেড়ে উঠছে আইভার। এই বছর মে মাসেই পৃথিবীতে চলে আসবে পুঁচকি আইভার।

আইভার জন্মের মুহূর্তটা একধারে ডিলানকে আনন্দ দিলেও সেই দিনটার কথা ভেবে এখনই আতঙ্কে কাঁপছেন তিনি। কারণ ডিলান জানেন আইভারের জন্ম হলেই রবিনের জীবনদায়ী ব্যবস্থা খুলে নেওয়া হবে। তাঁরা দু`জনে একসঙ্গে সন্তানের জন্মের মুহূর্তের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবেন না। আর কোনও দিনও তিনি কথা বলতে পারবেন না ভালবাসার রবিনের সঙ্গে। তাঁকে জানাতে হবে চিরবিদায়। ডিলানের আফসোস তাঁদের পুত্র আইভার বড় হবে অসাধারণ এক মায়ের ছত্রছায়া ছাড়াই।

.