প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে অনুচ্চারিতিই থাকছে তিস্তার 'জল-পানি' সমস্যা
প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে অনুচ্চারিত থেকে যাচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ইস্যুটিই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে, এই সফরে তিস্তা নিয়ে একটি শব্দও প্রকাশ্যে খরচ করবেন না নরেন্দ্র মোদী। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অবশ্যই কথা হবে এই ইস্যুতে।
ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে অনুচ্চারিত থেকে যাচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ইস্যুটিই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে, এই সফরে তিস্তা নিয়ে একটি শব্দও প্রকাশ্যে খরচ করবেন না নরেন্দ্র মোদী। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অবশ্যই কথা হবে এই ইস্যুতে।
একপক্ষের জল, অন্যপক্ষের পানি। তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে পদ্মার দুপাড়ের বাঙালির আবেগ সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে।
তিস্তাকে কেন্দ্র করে বারবার কূটনৈতিক টানাপোড়েনে জড়িয়েছে ঢাকা ও কলকাতা। তিস্তা চুক্তিতে আপত্তি জানিয়ে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে সঙ্গী হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে রাজি করাতে কলকাতায় এসে মেজাজ হারান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দিপু মণি। সেই ঘটনায় পরে বিদেশমন্ত্রী পদও হারাতে হয় তাঁকে। গত ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময়েও তিস্তা নিয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল ঢাকা। ঘরোয়া আলোচনায় রসিকতার ছলেই তিস্তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তবে টলানো যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখনও তিস্তা নিয়ে একইরকম অনড় তিনি। ঢাকা সফরে তিস্তা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও আলোচনা হবে না। কেন্দ্রের এই আশ্বাসেই ঢাকা যেতে রাজি হয়েছেন তিনি।
তবে, রবিবার মোদী-হাসিনা একান্ত বৈঠকে অবশ্যই তিস্তা চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশে আশা, স্থলসীমান্ত চুক্তির মতোই ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিস্তার জটের সমাধান করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।