অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার কারণেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস: বিশ্ব ব্যাঙ্ক

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অনেকটাই বেশি

Updated By: Apr 12, 2020, 05:06 PM IST
অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার কারণেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস: বিশ্ব ব্যাঙ্ক
ছবি- টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসে লকডাউনের পর দেশজুড়ে অভিবাসী শ্রমিকদের কয়েকশো কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের বহু অভিবাসী শ্রমিক লকডাউন পরিস্থিতিতে যানবাহনের অভাবে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু এর ফলেও যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায়, সে কথাই রবিবার মনে করিয়ে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দ্বিবার্ষিক রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে উল্লেখ করা হল এই সমস্যাটিকেও।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অনেকটাই বেশি। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে, বিশেষ করে শহুরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ রোধ করা বেশ কঠিন। রিপোর্টে বলা হয়, "এর ফলে সংক্রমণ আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। বসতির বাসিন্দা বা অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে।"

আরও পড়ুন- লকডাউনের মধ্যেও মিলবে ছাড়! করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলিকে ৩ জোনে ভাগ করছে কেন্দ্র

শুধু ভারত নয়। ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান অর্থাত্ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলিতে অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। লকডাউন পরিস্থিতিতে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। আর সেই যাত্রাপথেই কোথাও সংক্রমিত হলে সেই ব্যক্তি নিজের গ্রামে বা বাড়িতে ফিরলে তাঁর সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও সংক্রমণ হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের। তবে, রিপোর্টে এটাও বলা হয় যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ৬৫-এর বেশি বয়স্কদের সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের তুলনায় কম। তাই মৃত্যুর হার সেই দেশগুলির সংখ্যায় প্রাণহানির আশঙ্কা কম। 

হঠাত্ লকডাউনের প্রভাবে অভিবাসী শ্রমিকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন, তার উল্লেখও রয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়, কর্মহীন অবস্থায় শহুরে পরিবেশে আটকে থাকার তুলনায় হেঁটে গ্রামের বাড়িতে ফেরত যাওয়াই শ্রেয় মনে করেছেন শ্রমিকরা। তবে প্রাথমিক পরিসংখ্যান ও তথ্যাবলী বলছে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের ফলে বহু স্থানে প্রথমবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা আটকানো সব ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য যাত্রাপথে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব যাতে না হয়, সেদিকেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।'

.