মেমোগেট কেলেঙ্কারি : এখনই দেশে ফিরতে পারবেন না ইজাজ

মেমোগেট কেলেঙ্কারির নায়ক পাক বংশোদ্ভুত মার্কিন শিল্পপতি মনসুর ইজাজ জানিয়ে দিলেন, এখনই পাকিস্তান ফিরতে পারবেন না তিনি।

Updated By: Jan 16, 2012, 12:37 PM IST

মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল পাক রাজনীতি। দেশজুড়ে সামরিক অভ্যুত্থানের ভ্রুকুটি। সঙ্কটে সরকার। আজ পাক সুপ্রিম কোর্টে মেমোগেট কেলেঙ্কারির শুনানি। এরই মধ্যে এদিন মেমোগেট কেলেঙ্কারির নায়ক পাক বংশোদ্ভুত মার্কিন শিল্পপতি মনসুর ইজাজ জানিয়ে দিলেন, এখনই পাকিস্তান ফিরতে পারবেন না তিনি। এদিন ইজাজের আইনজীবীরা জানান, মনসুর ইজাজকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন জানিয়েছেন। ২৫ জানুয়ারির আগে পাকিস্তান ফিরতে পারবেন না ইজাজ। মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব তিনি দেশে ফিরেই দেবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন ইজাজ। অর্থাত্ সুপ্রিম কোর্টে মেমোগেট কেলেঙ্কারির শুনানিতে হাজির থাকতে পারবেন না ইজাজ।
পাকিস্তানে সরকার ও সেনা সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মনসুর ইজাজের। তাঁর ফাঁস করে দেওয়া মেমোতেই প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও আমেরিকায় নিযুক্ত তত্‍কালীন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানির নাম জড়িয়ে যায়। ইজাজ দাবি করেন, মে মাসে হাক্কানির নির্দেশে তিনি একটি স্মারকলিপি বানিয়ে মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেনকে দিয়েছিলেন। সেই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল, গোপনে অভ্যুত্থানের ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট জারদারির নির্দেশে বানানো ওই মেমো-তে, পাক সেনার সম্ভাব্য অভ্যুত্থান ঠেকাতে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন ফৌজের সাহায্যও প্রার্থনা করা হয়েছিল। হাক্কানি অবশ্য দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করতেই এই ভুয়ো স্মারকলিপির গল্প তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট হননি জেনারেল কায়ানি। সেনাবাহিনীর চাপে ইস্তফা দিতে হয় হাক্কানিকে। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলা। এমনকি দিন কয়েক আগে পাক সেনার হামলার ভয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় হাক্কানিকে। এর পাশাপাশি সেনাপ্রধান কায়ানির ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সচিব, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) নঈম খালিদ লোদিকে বরখাস্ত করে নার্গিস শেঠিকে নিযুক্ত করা নিয়ে সেনা-সরকার সংঘাত চরমে পৌঁছায়।

.