ডুবন্ত প্রমোদতরী থেকে উদ্ধার ৩০০ ভারতীয়
ডুবন্ত প্রমোদতরী থেকে জীবীত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হল ৩০০ ভারতীয়কে। সোমবার জানাল ইতালিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত দেবব্রত সাহা। উদ্ধার হওয়া ৩০০ ভারতীয়ই কোস্টা কনকর্ডিয়া জাহাজটির কর্মী বলেও জানা গিয়েছে।
ডুবন্ত প্রমোদতরী থেকে জীবীত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হল ৩০০ ভারতীয়কে। সোমবার জানাল ইতালিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত দেবব্রত সাহা। উদ্ধার হওয়া ৩০০ ভারতীয়ই কোস্টা কনকর্ডিয়া জাহাজটির কর্মী বলেও জানা গিয়েছে। ইতালি সরকার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫। নিখোঁজ ১৫জন। এদিন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানান, উদ্ধার হওয়া ভারতীয়দের সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে ভআরতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে। জাহাজটিতে আরও ভারতীয় আটকা পড়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোমে ভারতীয় দূতাবাসের কনসুলার সুনীল আগরওয়াল জানান, জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় কর্মীদের টাকা-পয়সা কিংবা ভারতে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভআরতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করা হবে। অপরদিকে ক্যাপ্টেনের ভুলেই এই ভয়াবহ জাহাজ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। যদিও পুলিসের অনুমাণ অস্বীকার করছেন জাহাজটির ক্যাপ্টেন ফ্রান্সিসকো সেত্তিনো।
শুক্রবার রাতে টিরেনিয়ান সাগরে বালির চরে ধাকা লেগে হেলে যায় ইতালির বিলাসবহুল জাহাজ কোস্টা কনকর্ডিয়া। জাহাজটির যাত্রী লুসিয়ানো কাস্ত্রো জানান, নৈশভোজের পার্টি চলাকালীনই হঠাত্ই একটা জোর শব্দ হয়। বোঝা যায় কিছু একটায় ধাক্কা মেরেছে জাহাজ। এরপরই হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে জাহাজটিতে। হেলতে থাকে কোস্টা কনকর্ডিয়া। বহু যাত্রীই ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই ঝাঁপ দেন হাড়হিম করা জলে। বেশ কয়েকজন সাঁতরে কাছের সমুদ্রতটে পৌঁছে যান। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয়ে যায় উদ্ধার কাজ। ব্যবহার করা হয় লাইফ বোট, হেলিকপ্টার। প্রত্যেক ১৫০ জন যাত্রীর জন্য ছিল একটি করে লাইফ বোট। ইতালি প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪,২০০ জনকে। তাঁদেরকে স্থানীয় স্কুলবাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের নাগরিক। পুলিসের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে বালির চড়ে ধাক্কা লেগেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমাণ করা হলেও, বড় পাথরে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।