চেনা-অচেনা মঙ্গল
১) মঙ্গল গ্রহের বাংলা নামটি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের নামে হলেও ইংরেজি নাম `মার্স`-এর উৎস কিন্তু রোমান যুদ্ধ দেবতা। মঙ্গল গ্রহের আর এক নাম `লাল গ্রহ`। মঙ্গলের `মাটি`তে অতিরিক্ত আয়রন অক্সাইড এই গ্রহের লাল রঙয়ের কারণ।
১) মঙ্গল গ্রহের বাংলা নামটি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের নামে হলেও ইংরেজি নাম `মার্স`-এর উৎস কিন্তু রোমান যুদ্ধ দেবতা। মঙ্গল গ্রহের আর এক নাম `লাল গ্রহ`। মঙ্গলের `মাটি`তে অতিরিক্ত আয়রন অক্সাইড এই গ্রহের লাল রঙয়ের কারণ।
২) দূরত্বের বিচারে মঙ্গল সৌরমণ্ডলের চতুর্থ গ্রহ। তবে আয়তনের বিচারে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম। পৃথিবীর অর্ধেক আয়তনের মঙ্গল মাত্র ৬,৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত।
৩) দুরবিনে ১৬১০-এ মঙ্গলকে প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম ইতালীয় পদার্থবিদ, অঙ্কবিশারদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও। এর এক শতাব্দীর মধ্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের বরফ ঢাকা মেরুর সন্ধান পান।
৪) মঙ্গলের বুকে জলের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলের বুকে প্রচুর জলের উৎস ছিল। নাসার মঙ্গলযানের পাঠানো ছবি অনুযায়ী মঙ্গলের প্রখর গ্রীষ্মেও জলের উপস্থিতির প্রমাণ মিলিছে।
৫) সৌরমণ্ডলে দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত অলিম্পাস মোনস অবস্থিত। উচ্চতায় অলিম্পাস মাউন্ট এভারেস্টের তিনগুণ। এটি একটি আগ্নেয়গিরিও বটে।
৬) সৌরজগতের বৃহত্তম গিরিখাতটি মঙ্গলে অবস্থিত। মঙ্গলপৃষ্ঠে ৪০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই গিরিখাত।
৭) মঙ্গলের দুটি চাঁদ। ফোবোস ও ডেইমোস। ১৮৭৭ সালে আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আসাফ হল প্রথম এই দুটি চাঁদের উপস্থিতি আবিষ্কার করেন।
৮) মঙ্গলের পাতলা আবহাওয়া মণ্ডলের ৯৫% দখল করে আছে কার্বন ডাই অক্সাইড। ৩% নাইট্রোজেন, ১.৬% আর্গন ও অল্পপরিমাণ জল ও অক্সিজেন রয়েছে।
৯) পৃথিবীর মত মঙ্গলের বুকেও চারটি ঋতু পর্যায়ক্রমে আসে যায়।
১০) মঙ্গলের কক্ষপথে বর্তমানে তিনটি মহাকাশ যান রয়েছে। তিনিটি মহাকাশ যানের নাম মার্স এক্সপ্রেস, মার্স ওডিসি, মার্স রিকোনাইসেন্স ওরবিটার। এছাড়া মঙ্গল গবেষণা কেন্দ্র কিউরিওসিটি ও অপোরচুনিটি নামের দুটি মঙ্গলযান এই মুহূর্তে মঙ্গলের বুকে বিরাজমান।