ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দিলের জিয়া

বহুদলীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের যে প্রয়াস ভারত করেছে তাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে বিএনপি। চব্বিশ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে একথাই বললেন বিএনপির সহ সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী শমশের মবিন চৌধুরী। তিস্তা জলবণ্টন থেকে সন্ত্রাস মোকাবিলা। একাধিক বিষয়েই চব্বিশ ঘণ্টার প্রশ্নের খোলাখুলি উত্তর দিলেন তিনি।

Updated By: Oct 31, 2012, 11:10 AM IST

বহুদলীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের যে প্রয়াস ভারত করেছে তাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে বিএনপি। চব্বিশ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে একথাই বললেন বিএনপির সহ সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী শমশের মবিন চৌধুরী। তিস্তা জলবণ্টন থেকে সন্ত্রাস মোকাবিলা। একাধিক বিষয়েই চব্বিশ ঘণ্টার প্রশ্নের খোলাখুলি উত্তর দিলেন তিনি।  
ভারত বিরোধী কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না বিএনপি। ভারত সফরের তৃতীয় দিনেই বেগম খালেদা জিয়ার থেকে এই আশ্বাস আদায় করে নিল দিল্লি। বিনিময়ে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার কথা কারোর অজানা নয়। তুলনায় বিএনপির সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক ছিল যথেষ্টই শীতল। উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই শীতলতা কাটাতে প্রথমে উদ্যোগী হয় নয়াদিল্লিই। ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী বেগম খালিদা জিয়াকে। সাতদিনের ভারত সফরে রবিবারই দিল্লি পৌঁছন তিনি। বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বৈঠকের পর মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদের সঙ্গে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।
ইতিবাচক বার্তা পাওয়া গিয়েছে বিএনপির তরফেও। সন্ত্রাসের প্রশ্নে সহযোগিতার আশ্বাসের বিনিময়ে, তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন বেগম জিয়া। সীমান্তে প্রাণহানির সমস্যাটিও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে নয়াদিল্লি। খালিদা জিয়া জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে আগ্রহী তিনিও। তাই আর পিছনে ফিরে তাকাতে চান না।

.