বন্দি মহিলাকে ধর্ষণের পর নিজের রক্তে স্নান করতে বাধ্য করল আইসিস
বিশ্ব জুড়ে নৃশংসতার নিদর্শনে পরিণত হয়েছে আইসিস জঙ্গীরা। তাদের অত্যাচারের নিত্যনতুন গল্পে শিউরে উঠছে মানুষ। আর এই অত্যাচারের সবথেকে বেশি শিকার হতে হচ্ছে মেয়েদের। মৃত্যুর থেকেও কঠিন শাস্তি হলো আইসিস জঙ্গীদের যৌন দাসত্ব। কতটা নির্মম হয় এই আইসিসদের যৌন দাসীদের জীবন? সেই কথাই জানালেন কোনও রকমে উদ্ধার পাওয়া শিরিন। যদিও এটা তার আসল নাম নয়।
ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে নৃশংসতার নিদর্শনে পরিণত হয়েছে আইসিস জঙ্গীরা। তাদের অত্যাচারের নিত্যনতুন গল্পে শিউরে উঠছে মানুষ। আর এই অত্যাচারের সবথেকে বেশি শিকার হতে হচ্ছে মেয়েদের। মৃত্যুর থেকেও কঠিন শাস্তি হলো আইসিস জঙ্গীদের যৌন দাসত্ব। কতটা নির্মম হয় এই আইসিসদের যৌন দাসীদের জীবন? সেই কথাই জানালেন কোনও রকমে উদ্ধার পাওয়া শিরিন। যদিও এটা তার আসল নাম নয়।
ইরাকের হার্ডন গ্রামের ১৭ বছরের মেয়ে শিরিন। চোখে তার স্বপ্ন উকিল হওয়ার। কিন্তু একদিনের কয়েকটা ঘণ্টা সব পালটে দিল। স্বপ্ন মুছে গিয়ে দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। একদল আইসিস জঙ্গী এসে তুলে নিয়ে গেল গ্রামের সব মেয়েদের। তার পর থেকে দেড় বছর ধরে প্রতিদিন সহ্য করতে হয়েছে নৃশংস অত্যাচার। একের পর এক পুরুষ এসে দিনভর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে ছোট্ট মেয়েটির ওপর। কাল যারা তার প্রতিবেশি ছিল তারাই হয়ে গিয়েছিল ধর্ষক। রোজকার ধর্ষণে বার বার অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েছে শিরিন। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। ভ্রূণ হত্যা করে ফের চলেছে অত্যাচার। একসময় ক্রমাগত ধর্ষণের ফলে রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। আর সেই রক্তেই তাকে স্নান করতে বাধ্য করা হয়েছে।
অত্যাচার করতে করতে একসময় হয়ত জঙ্গীরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই তার ধর্ষকদেরই একজন শিরিনকে পালাতে সহযোগিতা করে। ও ফিরে আসে নিজের বাড়িতে। আইসিসের ডেরা থেকে পালিয়ে এলেও এই দুঃসহ সময়টা থেকে কি কোনওদিন পালাতে পারবে শিরিন?