New Planet Discovered: সৌরজগতের বাইরে নতুন বিশাল এক গ্রহের সন্ধান! সেখানে কোথা থেকে এল প্রাণের চিহ্ন?
New Planet Outside Our Solar System: ৪০০ আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহের খোঁজ পেলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যে-গ্রহে জলের অস্তিত্বও খুঁজে পেলেন তাঁরা! জল আছে মানে, প্রাণও আছে! তবে কি মহাকাশবিদ্যায় উন্মোচিত হবে নতুন অধ্যায়?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৩ ঘণ্টায় যার এক বছর! না, কোনও ধাঁধা নয়! আমাদের সৌরজগতের বাইরে নতুন এক গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। যে-গ্রহটির তার নক্ষত্রের চারিদিকে একবার ঘুরতে সময় লাগে মাত্র ২৩ ঘণ্টা! পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা ৩৬৫ দিন! জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ নতুন এই গ্রহটির ছবি তুলেছে। এবং সব চেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হল, গ্রহটিতে মিলেছে জলের চিহ্ন! খুব স্বাভাবিক ভাবেই নব-আবিষ্কৃত এই গ্রহ এখন বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে। গ্রহটির নাম ডব্লিউএএসপি-১৮বি (WASP-18b)। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪০০ আলোকবর্ষ।
আরও পড়ুন: Birth of New Suns: নতুন সূর্যের খোঁজ দিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ! আমাদের সৌর জগতের কী হবে?
গ্রহটির প্রথম খোঁজ অবশ্য মিলেছিল ২০০৯ সালে। সম্প্রতি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ক্যামেরায় গ্রহটির নতুন ছবি ধরা পড়ল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই গ্রহে রয়েছে জলীয় বাষ্প। যা দেখে উল্লসিত বিজ্ঞানীরা। তা হলে তো জল আছে এখানে, আর
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করে ২৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। তবে গ্রহের যে অংশ নক্ষত্রের উল্টো দিকে থাকে, সেখানে তাপমাত্রা নেমে যায় অনেকটাই। বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রার ফারাক থাকে অন্তত ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এত তাপমাত্রা সত্ত্বেও সেখানে জলের উপস্থিতি কীভাবে? ফলে বিষয়টি আলাদা করে ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। তবে কি প্রাণও আছে এখানে?
আরও পড়ুন: Jean-Marc Laroche: কঙ্কালেরা যৌনতায় লিপ্ত! দেখে কেউ ছুটছেন, কেউ ভয়ে নীল...
নাসা জানিয়েছে, গ্রহটি আকারে বেশ বড়। আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। নতুন এই গ্রহটি তার চেয়েও বড়। এর আয়তন বৃহস্পতির প্রায় ১০ গুণ! প্রথমদিকে অতি-উষ্ণ গ্যাসীয় এক গ্রহ হিসেবেই এর পরিচিতি ছিল। তবে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণের সূত্রে তাতে এবার জলের হদিসও মিলল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহটি নিজের নক্ষত্রের চার দিকে এক বার ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ২৩ ঘণ্টা। এর মানে, ২৩ ঘণ্টাতেই এই গ্রহে বয়ে যায় একটি 'বছর'! গ্রহটির আবহাওয়ায় জলের কণা খুঁজে পেয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।