মার্কিন বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রীকে পোশাক খুলে তল্লাশি!
মঙ্গলবারই ৭টি পাক কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ, ওইসব কোম্পানির সঙ্গে পরমাণু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পাশপাশি পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যেই এই ঘটনা। ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের আরও অবনতি হল বলেই মনে করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন বিমানবন্দরে কাপড় খুলিয়ে তল্লাশি করা হল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকন আব্বাসিকে। ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম। ওদিকে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই করুণ দশাকে কর্মফল বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে নিজের পোশাক ও ব্যাগ হাতে নিয়ে বিমানবন্দর ছাড়ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এমনিতেই মার্কিন বিমানবন্দরে কড়া তল্লাশির মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের। তন্নতন্ন করে তল্লাশির পর তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয় সেদেশের প্রশাসন। তাই বলে প্রধানমন্ত্রীও!
Pakistan Prime Minister #ShahidKhaqanAbbasi strip searched at JFK Airport. Coat off, shoes off, belt off. Serves right for Terroristan PM pic.twitter.com/5MHjk2tbuj
— Rosy (@rose_k01) March 28, 2018
জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন আব্বাসি। সেখানেই এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোট, ব্যাগ হাতে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরোচ্ছেন আব্বাসি।
পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, খাকনকে আম আদমির মতো পোশাক খুলে তল্লাশি করা হয়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, আব্বাসিকে রুটিন তল্লাশি করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকতেও কেন এই ধরণের তল্লাশির মুখে পড়তে হল আব্বাসিকে। প্রশ্ন তুলছে পাক জনতা।
আরও পড়ুন-বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর
উল্লেখ্য, অসুস্থ বোনকে দেখতে ব্যক্তিগত সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন আব্বাসি। তবে সেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ফলে খাকানের সফর ব্যক্তিগত হতে পারে না বলে দাবি করছে পাক সংবাদমাধ্যম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ৭টি পাক কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ, ওইসব কোম্পানির সঙ্গে পরমাণু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পাশপাশি পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যেই এই ঘটনা। ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের আরও অবনতি হল বলেই মনে করা হচ্ছে।