বিক্ষোভরত নারীদের স্তন ও যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর!
'আমি একজন মহিলার চিকিৎসা করেছি, যার যৌনাঙ্গে দুটি গুলি লেগেছিল। তার ভিতরের উরুতে আরও ১০টি গুলি করা হয়েছিল। এক্স-রে-তে দেখা যায় যে, শটগানের ছররাগুলি মাংসের গভীরে বিঁধে রয়েছে... নিরাপত্তা বাহিনী যৌনতা সংক্রান্ত হীনমন্যতায় ভুগছে।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিডিটাল ব্যুরো: টার্গেট করে ইরানে বিক্ষোভরত নারীদের স্তন ও যৌনাঙ্গে গুলি করছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী! সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের হাতে বন্দি মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই ফুঁসছে ইরান। বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সেদেশের নারী-পুরুষ। সেই বিক্ষোভরত নারীদের মুখ, স্তন ও যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
ইরানের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্সরা জানিয়েছেন, মহিলা ও পুরুষরা শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁরা মুখ, স্তন এবং যৌনাঙ্গে শটগানের গুলি নিয়ে হাজির হচ্ছেন হাসপাতালে। একজন চিকিৎসক যেমন বলেছেন, 'আমি একজন মহিলার চিকিৎসা করেছি, যার যৌনাঙ্গে দুটি গুলি লেগেছিল। তার ভিতরের উরুতে আরও ১০টি গুলি করা হয়েছিল। এই ১০টি ছররা সহজেই বের করা গিয়েছিল। তবে যৌনাঙ্গের গুলি দুটি বের করা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, সেগুলি তাঁর মূত্রনালী এবং যোনিমুখের মধ্যে আটকে ছিল। যোনিপথে সংক্রমণের গুরুতর ঝুঁকি ছিল। এক্স-রে-তে দেখা যায় যে, শটগানের ছররাগুলি মাংসের গভীরে বিঁধে রয়েছে।'
ওই চিকিৎসক আরও বলেন, 'ওই মহিলা বলছিলেন, তিনি যখন প্রতিবাদ করছেন, তখন আহত হয়ে পড়ে যান। তারপর প্রায় ১০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল তাঁকে ঘিরে ধরে যৌনাঙ্গ ও উরুতে গুলি করতে থাকে।' তেহরানের নিকটবর্তী শহর কারাজের আরেক চিকিৎসকের কথায়, নিরাপত্তা বাহিনী যৌনতা সংক্রান্ত হীনমন্যতায় ভুগছে। সেই কারণেই তারা নারীদের যৌনাঙ্গে গুলি করছে! কারণ আঘাত করে তারা তাদের যৌনতা সংক্রান্ত হীনমন্যতা থেকে মুক্তি পেতে চায়।' প্রসঙ্গত, হিজাব না পরার 'অপরাধে' মাশা আমিনিকে বন্দি করে ইরান পুলিস। পুলিসের হাতে বন্দিদশাতেই মাশা আমিনির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরই দেশে আগুন জ্বলে যায়।
আরও পড়ুন, এসকর্ট সার্ভিসের সাইটে বউ-বোনের ছবি! বডি ম্যাসাজ খুঁজতে গিয়ে একি দেখলেন যুবক...
Sex during Periods: পিরিয়ডের দিনগুলোতে সেক্স নিরাপদ? প্রেগন্যান্সির চান্স নেই? জানুন...
ইরানের সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। কেন এবং কীভাবে মাশার মৃত্যু হয়েছে? তা জানতে চায় দেশবাসী। ইরানবাসীর ধারণা, পুলিসি অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে আমিনির। যদিও পরে ইরান সরকার দাবি করে যে, মোটেই কোনও পুলিসি অত্যাচারে মৃত্যু হয়নি মাশা আমিনির। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু তাতেও ক্ষোভের আগুন নেভেনি ইরানে। বরং, পুলিসি হেফাজতে ২২ বছরের যুবতী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভকারীরা ইরানের ধর্মগুরু শাসকদের উৎখাতের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
আরও পড়ুন, চিনে চরম চর্চা, এসে গেল ক্যামেরার চোখে গায়েব থাকার পোশাক!