চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই, ভারতীয়দের ডিএনএতেই রয়েছে শান্তির জিন: জাপান সফরে মোদী
ভারতীয়দের ডিএনএতেই রয়েছে শান্তির জিন। মঙ্গলবার জাপান সফরের চতুর্থ দিনে ভারতের এনপিটি স্বাক্ষর না করা নিয়ে এই কথাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জাপান: ভারতীয়দের ডিএনএতেই রয়েছে শান্তির জিন। মঙ্গলবার জাপান সফরের চতুর্থ দিনে ভারতের এনপিটি স্বাক্ষর না করা নিয়ে এই কথাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন মোদী বলেন, "ভারত গৌতম বুদ্ধের দেশ। বুদ্ধ শান্তির জন্য বেঁচেছেন, শান্তির জন্য জীবন উত্সর্গ করেছেন, সেই শান্তির বাণী এখনও বইছে ভারত।" জাপানের সেক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন মোদী। IAEA-র সঙ্গে অ্যাডিশনাল প্রোটোকল সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে মোদী বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতায় দায়বদ্ধ। ভারতীয় জিন এইসব আন্তর্জাতিক চুক্তির থেকে অনেক বড়। এরকম অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তি হবে, কিন্তু সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সবথেকে আগে। আমরা মনে করি সারা বিশ্ব এক পরিবারের সদস্য। কীভাবে আমরা কারও ক্ষতিসাধন করতে পারি?"
তবে এইদিন অনেক বিতর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে যান মোদী। তাঁর বক্তব্য, "ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। সেরকমই জাপানও গণতান্ত্রিক দেশ। যদি দুই দেশ একসঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করে তাহলে বিশ্বকে আমরা গণতন্ত্রের শক্তি বোঝাতে পারি। অন্যদের নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমাদের উচিত্ প্রগতি ও উন্নয়নে মনোনিবেশ করা।" এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি কাল্পনিক গল্পেরও অবতারণা করেন মোদী। তিনি বলেন, "ধরা যাক কেউ যদি অন্ধকার ঘরে ঝাড়ু নিয়ে পরিষ্কার করতে যায় সে ব্যর্থ হবে। বর্শা নিয়ে গেলেও ব্যর্থ হবে। কম্বল দিয়েও অন্ধকার চাপা যাবে না। কিন্তু কোনও প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ যদি সেই ঘরে প্রদীপ নিয়ে প্রবেশ করেন তাহলেই দূর হবে অন্ধকার।"
এ দিন নিজের জীবন কাহিনিও ছাত্র ছাত্রীদের শোনান মোদী। কীভাবে গরীব পরিবারের সন্তান নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী আজ সারা ভারতের নমো হয়ে উঠেছেন সেই গল্পো তুলে ধরেন ছাত্রছাত্রীদের সামনে।