জেরুজালেম ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে নাকচ ট্রাম্প সিদ্ধান্ত, বিপক্ষে ভোট ভারতের
রাষ্ট্রসংঘে জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'ঐতিহাসিক' সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে ভারতও ভোট দিল আমেরিকার বিরুদ্ধেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাষ্ট্রসংঘে জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'ঐতিহাসিক' সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে ভারতও ভোট দিল আমেরিকার বিরুদ্ধেই।
জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হয় রাষ্ট্রসংঘে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেয় ১২৭টি দেশ। যারমধ্যে ছিল ভারত। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম 'বন্ধু' ব্রিটেনও। মাত্র ৯টি দেশ সমর্থন দেয় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পক্ষে। ৩৫টি দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণার পরই নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল ভারত। সেদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছিল, জেরুজালেম ইস্যুতে পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। এই সিদ্ধান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না করে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয় এ বিষয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ভোটাভুটিতে সেই পথেই হাঁটল ভারত। যদিও, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ভারত কোনও বক্তব্য রাখেনি। তবে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আয়োজিত পার্শ্ববৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, "ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে পারস্পারিক আলোচনাই ওই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ। আলোচনার মাধ্যমেই জেরুজালেম বিতর্কের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।"
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটির আগের দিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিলে ফল ভুগতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যে সব দেশ তাঁর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে, ভবিষ্যতে তারা আমেরিকার কাছ থেকে কোনওরকম অর্থ সাহায্য নাও পেতে পারে বলে কার্যত প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভোটাভুটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হারের পর একই সুর শোনা গেল রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির কথাতেও। জেরুজালেম ইস্যুতে বিশ্ব কূটনীতির জল যে এরপর আরও দূর গড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন, নেট নিউট্রালিটির দাবি খারিজ মার্কিন মুলুকে, প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ভারতেও