পাকিস্তানের হাফিজ পদক্ষেপে খুশি ভারত
পাকিস্তানের প্রশংসা করল ভারত! ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে পাক পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন! দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে বাক্যের শেষে 'বিস্ময়সূচক চিহ্ন'টি বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে। কিন্তু এমন 'অসম্ভব' কী করে সম্ভব হল? কে করলেন এমন 'নেক্সট টু ইমপসিবল' কাজ? উত্তর দুটি- হাফিজ সইদ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রশংসা করল ভারত! ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে পাক পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন! দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে বাক্যের শেষে 'বিস্ময়সূচক চিহ্ন'টি বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে। কিন্তু এমন 'অসম্ভব' কী করে সম্ভব হল? কে করলেন এমন 'নেক্সট টু ইমপসিবল' কাজ? উত্তর দুটি- হাফিজ সইদ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প সওয়ার হওয়ার পরই কপাল পুড়েছে হাফিজ সইদের। মার্কিন চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তানের নওয়াজ প্রশাসন প্রথমে গৃহবন্দী করে মুম্বাই হামলার মূলচক্রী হাফিজকে। তারপর এই কুখ্যাত জঙ্গি নেতার নাম নথিভূক্ত হয় পাকিস্তানের 'এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট'-এ। যার অর্থ হল, কোন ভাবেই দেশের বাইরে যেতে পারবে না জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান সইদ। আর এর পরই অনেকটা কফিনের শেষ পেড়েকের মতো, হাফিজকে পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের চতুর্থ তফসিলের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই তফসিলে নাম থাকলে স্কুল, কলেজ, পার্ক, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ইত্যাদি কোনও জায়গায় যেতে পারবে না 'অভিযুক্ত'। এমন কি গণমাধ্যমের কোনও অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারবে না সেই ব্যক্তি। অর্থাত্ রীতিমতো চাপে হাফিজ সইদ। আর এই সবকিছুর শেষে খোদ পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা সচিব নিজেমুখে হাফিজকে 'সমাজের শত্রু' বললেন আন্তর্জাতীক মঞ্চে দাঁড়িয়ে। আর এতেই উল্লসিত ভারত। (আরও পড়ুন- অস্ত্র আমদানিতে ভারতই বিশ্বে প্রথম, বলছে রিপোর্ট)
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত ক্রমাগত হাফিজকে আটক করে শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তানের কাছে। কিন্তু ইসলামাবাদ সেসব কথায় কর্ণপাতও করেনি। কিন্তু এবার খোদ আমেরিকা প্রসিডেন্টের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ এবং 'ট্রাভেন ব্যান'সহ একাধিক সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান সরকার বলে মনে করছে আন্তর্জাতীক মহল। কিন্তু সে যাই হোক, ভারত আপাতত খুশি পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে। তবে, আরেকটা চিন্তাও থেকে যাচ্ছে নয়াদিল্লির। তাহল, অতীতে অনেক জঙ্গি নেতাই পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের চতুর্থ তফসিলের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সত্বেও 'খোলা হাওয়ায়' ঘুরে বেড়িয়েছে।