সিরিয়া আক্রমণের কথা বলেও কিছুটা পিছু হটলেন ওবামা, সিরিয়া আক্রমণের ঘোষণায় আমেরিকা, ব্রিটেনে বিক্ষোভ
সিরিয়া আক্রমনের কথা ঘোষণা করেও কিছুটা পিছিয়ে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথা ভেঙে জানালেন, মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের পরই সিরিয়ায় সামরিক অভিযান হবে।
সিরিয়া আক্রমনের কথা ঘোষণা করেও কিছুটা পিছিয়ে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথা ভেঙে জানালেন, মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের পরই সিরিয়ায় সামরিক অভিযান হবে। ইরাক ও আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরুর পরই কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। এবার সামরিক অভিযানের প্রস্তাবটি মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন বারাক ওবামা।
প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ তুলে সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওবামার মতে আসাদ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন মানবতা বিরোধী অন্যদিকে, তেমনই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সামরিক নীতিরও পরিপন্থী। এই যুক্তি দেখিয়ে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন ওবামা। যদিও খসড়া প্রস্তাবে সিরিয়া আক্রমণের কোনও সময়সীমার উল্লেখ নেই। গ্রীষ্মাবকাশের পর আগামী নয়ই সেপ্টেম্বর ফের বসছে মার্কিন কংগ্রেস। ফলে অন্তত দিন দশেকের আগে সিরিয়া আক্রমণের সম্ভাবনা নেই আমেরিকার।
সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ঘোষণার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আমেরিকায়। শনিবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নয়, দেশের মানুষের জীবনধারনের মান উন্নয়নের জন্য অর্থব্যয় করুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা বিশ্বের নীতি-পুলিস নয় বলেও স্লোগান তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে দাবি উঠেছে, ইরাক-আফগানিস্তানে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করার। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় বহু মানুষের মৃত্যুরও তীব্র নিন্দা করা হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল থেকে। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্ক্যোয়ারে একইরকম বিক্ষোভ দেখান মার্কিন নাগরিকরা।
সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের বিরোধিতায় মিছিল শুরু হয়েছে ব্রিটেনেও। লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হাজার হাজার নাগরিক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার আগেই সিরিয়ার আক্রমণ প্রস্তাব ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণার পরেই সিরিয়ার জাতীয় পতাকা নিয়ে টেমসের পাড়ে এক বিশাল মিছিল বের হয়। তারপরে ট্রাফালগা স্ক্যোয়ারে জমায়েত হন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় পররাষ্ট্রনীতিতে চোখ বুঝে সায় দেওয়ার বদভ্যাস এবার ত্যাগ করতে হবে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের।