Bangladesh: বদলের বাংলাদেশে লোকনাথ বাবার আরাধনা! রঘুনাথ জিউর মন্দিরে শতাধিক পূণ্যার্থীর সমাগম...

Bangladesh: নিয়মানুযায়ী প্রতি বছরের কার্তিক মাসের ১৫ তারিখের পর মাসের বাকি সময়ের প্রতি শনি অথবা মঙ্গলবার তারা এ ‘কার্তিক ব্রত’ বা ‘রাখের উপবাস’ পালন করেন। তাই সারাদিন উপবাস পালনের পর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহরের রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে সন্ধ্যায় বসেছিলো এমনি এক পূজা অর্চনা বা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’ মেলা। লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরে সামনে কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে লোকনাথের আরাধনায় নিমগ্ন হয়েছিলেন। 

Updated By: Nov 13, 2024, 12:02 AM IST
Bangladesh: বদলের বাংলাদেশে লোকনাথ বাবার আরাধনা! রঘুনাথ জিউর মন্দিরে শতাধিক পূণ্যার্থীর সমাগম...

সেলিম রেজা, ঢাকা: কারও কাছে ‘কার্তিক ব্রত’, কারও কাছে ‘রাখের উপবাস’ বা ‘গোসাইর উপবাস’। ব্রতকথার যে নামই হোক না কেন বিপদ-আপদ, রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে লোকনাথ অনুসারী ও ভক্তরা এই ব্রত পালন করেন। বদলের বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লোকনাথ অনুসারী ও ভক্তরা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’ পালন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে ঢাকা শহরের রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছিলো শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থী। হাজার হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনে আলোকিত হয়ে উঠেছিলো মন্দির প্রাঙ্গন। সেই সাথে নারীদের উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গন। 

আরও পড়ুন- Cyclone Alert: একে রক্ষে নেই, এবার একসঙ্গে সাগরে ৪ ঝড়...

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়মানুযায়ী প্রতি বছরের কার্তিক মাসের ১৫ তারিখের পর মাসের বাকি সময়ের প্রতি শনি অথবা মঙ্গলবার তারা এ ‘কার্তিক ব্রত’ বা ‘রাখের উপবাস’ পালন করেন। তাই সারাদিন উপবাস পালনের পর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহরের রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে সন্ধ্যায় বসেছিলো এমনি এক পূজা অর্চনা বা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’ মেলা। লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরে সামনে কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে লোকনাথের আরাধনায় নিমগ্ন হয়েছিলেম। যতক্ষণ না পূজা শেষ হয়, ততক্ষণ তারা ওই প্রদীপ জ্বালিয়ে বসে থাকেন আর নিজেদের মনবাসনা পূরণ করতে প্রার্থনা করেন।

ব্রত উদযাপনে আসা ভক্তরা জানান, এই ব্রতের আগের দিন সংযম করতে হয়। তারপর উপবাস থেকে সন্ধ্যায় আগে ধুপ, প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে বসতে হবে। আরাধনায় বসে প্রদীপ জ্বালানোর পর কথা বলা বন্ধ করে দিতে হয়। সংযম, মনোব্রত ও মনকে একাগ্রচিত্তে লোকনাথকে ডাকতে হয়। তারপর প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী পুকরে বাবা লোকনাথের নামে তা ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের লোকনাথ জিউর মন্দিরের সভাপতি যাদব ঘোষ বলেন, বিভিন্ন রোগ বালাই হাত থেকে মুক্তি এবং আপনজনদের মঙ্গল কামনায় কার্তিক মাসে এ উপবাস পালন এবং আশ্রম প্রাঙ্গণে ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ-ধুনা জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাবা লোকনাথ। তাই এবারও অন্যান্য বছরের মতো আয়োজন করা হয়েছে এ ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন।

আরও পড়ুন- Delhi Rape Case: ফের রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার ২ তরুণী, গ্রেফতার ৫...

এই লোকনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এই পূর্জা অর্চনা হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে ১৯৮৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবছর পালিত হয় এ ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন উৎসব। এতে শত শত লোকনাথ ভক্তদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউর মন্দির কমিটির সভাপতি শঙ্কর প্রসাদ সাহা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা প্রদীপ প্রজ্বলন এর আয়োজন করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার লোকসমাগম অনেক বেশি হয়েছে। তাই আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজনের ব্যবস্থা করার চিন্তা ভাবনা করছি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.