বিরোধীদের ডাকা হরতালের প্রথম দিনেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

বিরোধীদের ডাকা হরতালের প্রথম দিনেই অগ্নিগর্ভ হল বাংলাদেশ। আজ সকালে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে একজনের। বিভিন্ন জায়গায় পুলিসের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই নিয়ে পর পর তিনবার হরতালের ডাক দিল বিএনপি সহ ১৮ দলের বিরোধী জোট।

Updated By: Nov 10, 2013, 09:49 PM IST

বিরোধীদের ডাকা হরতালের প্রথম দিনেই অগ্নিগর্ভ হল বাংলাদেশ। আজ সকালে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে একজনের। বিভিন্ন জায়গায় পুলিসের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই নিয়ে পর পর তিনবার হরতালের ডাক দিল বিএনপি সহ ১৮ দলের বিরোধী জোট।
তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগেই ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা করেছিলেন বিরোধীরা। বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেফতারের পর রবিবার থেকে হরতালের মেয়াদ আরও একদিন বাড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতৃত্ব। সকাল ছটা থেকেই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের আঠেরোটি বিরোধী দলের ডাকে চুরাশি ঘণ্টার হরতাল।
 
ধর্মঘটকে ঘিরে হিংসার আশঙ্কা আগেই ছিল। বেলা বাড়তেই বোঝা গেল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। প্রথমে মৃত্যুর খবর আসে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামের হাটহাজারি এলাকায় হরতালকারীরা একটি অটোর ওপর চড়াও হয়। অটো উল্টে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক যাত্রীর।
 
রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু এলাকা হরতালকারী এবং পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয়। বোমাবাজি, বাসে আগুন দেওয়া কিছুই বাদ যায়নি।  পাবনায় রেললাইন উপড়ে দেওয়া হয়। 
 
তদারকি সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিরোধীরা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা বার বারই ফিরিয়ে দিয়েছেন বিএনপি দলনেত্রী খালেদা জিয়া। এরপর বার বারই হরতালে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুদফায় মোট একশো কুড়ি ঘণ্টার হরতালে মৃত্যু হয় আঠেরো জনের। এবারে বিএনপির শীর্ষনেতাদের গ্রেফতারির পর আরও আক্রমণাত্মক বিরোধী শিবির। ফলে হরতালের বাকি দিনগুলিতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।  

.