ওবামার সময়, জুকারবার্গের সমর্থন পেল ১৪-এর আহমেদ মহম্মদ

এইতো চলতি সপ্তাহের সোমবার। হাতে তৈরি একটা নিরীহ অ্যালার্ম ঘড়ি। তার জেড়েই টেক্সাসের স্কুল থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল ১৪ বছরের আহমেদ মহম্মদকে। স্কুল আধিকারিকদের অভিযোগ ছিল স্কুলে নকল বোম নিয়ে ঘুরছে আহমেদ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার কিশোর হাতে হাতকড়া পরিয়েছিল পুলিস। বুধবারের মধ্যেই আমূল বদলে গেল দুঃস্বপ্নের সেই অধ্যায়। সেই অ্যালার্ম ঘড়িই তাকে উপহার দিল খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কিছুটা সময়। ঘড়ি সহ তার ডাক পড়ল হোয়াইট হাউস থেকে। তার সমর্থনে এগিয়ে এলেন হিলারি ক্লিন্টন, মার্ক জুকারবার্গ। 

Updated By: Sep 17, 2015, 03:27 PM IST
 ওবামার সময়, জুকারবার্গের সমর্থন পেল ১৪-এর আহমেদ মহম্মদ

ওয়েব ডেস্ক: এইতো চলতি সপ্তাহের সোমবার। হাতে তৈরি একটা নিরীহ অ্যালার্ম ঘড়ি। তার জেড়েই টেক্সাসের স্কুল থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল ১৪ বছরের আহমেদ মহম্মদকে। স্কুল আধিকারিকদের অভিযোগ ছিল স্কুলে নকল বোম নিয়ে ঘুরছে আহমেদ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার কিশোর হাতে হাতকড়া পরিয়েছিল পুলিস। বুধবারের মধ্যেই আমূল বদলে গেল দুঃস্বপ্নের সেই অধ্যায়। সেই অ্যালার্ম ঘড়িই তাকে উপহার দিল খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কিছুটা সময়। ঘড়ি সহ তার ডাক পড়ল হোয়াইট হাউস থেকে। তার সমর্থনে এগিয়ে এলেন হিলারি ক্লিন্টন, মার্ক জুকারবার্গ। 

আহমেদকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার পরেই, এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। তার ধর্ম আর নামই কি আহমেদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের পিছনে মূল কারণ? কাঠগোড়ায় উঠেছিল গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম সহিষ্ণতার প্রসঙ্গ। তারপরেই বদলে গেল ঘটনাচিত্র। 

ছোট্ট আহমেদ স্বপ্ন, চাহিদা গুলোও আর পাঁচটা কিশোরের মতই, অনাবিল। টেকনোলজিতে তার উৎসাহ প্রবল। নাসার একটা টি শার্টের গায়ে চাপানোর ইচ্ছা তার বহুদিনের। বড় হয়ে এমআইটি-তে যেতে চায় সে। 

সারা পৃথিবীর মতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন ইসলাম, অনুপ্রবেশ ও ভিন্ন জাতি অধীনস্থ মানুষের শিকড়ের সন্ধান, বাসভূমির উপর অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন দেশ যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশে ও মধ্যপ্রাচ্যে লড়াই চালাচ্ছে তখন এই ঘটনা প্রমাণ করল কীভাবে মনের গভীরে বাসা বাঁধছে অযৌক্তিক কিছু গোঁড়ামো। 

বুধবার থেকে টেক্সাসে আহমেদের বাড়ির সামনে ভীর জমিয়েছেন সাংবাদিকরা। ওবামা, হিলারি ও জুকারবার্গের সমর্থন পেয়ে বেজায় খুশি সে ও তার পরিবার। 

আহমেদের নিজের বয়ানে সে অভিভূত। সে জানিয়েছে ''আমি চেষ্টা করব শুধু নিজেকে নয় আমার মতই সারা পৃথিবীতে যে সমস্ত শিশুরা এই ধরণের সমস্যায় পরছে তাদেরও সাহায্য করতে।'' 

.