যারে যা মঙ্গলে যা...

চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন কি? কিন্তু একদিকে নাসা অন্যদিকে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের হম্বিতম্বিতে আপনার চাঁদে চড়ার ইচ্ছা অধারাই রয়ে গেছে? চাঁদে না হোক মঙ্গলে যাওয়ার রাস্তায় আপনাকে কেউ আঁটকাতে পারবে না।

Updated By: Aug 24, 2013, 12:28 PM IST

চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন কি? কিন্তু একদিকে নাসা অন্যদিকে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের হম্বিতম্বিতে আপনার চাঁদে চড়ার ইচ্ছা অধারাই রয়ে গেছে? চাঁদে না হোক মঙ্গলে যাওয়ার রাস্তায় আপনাকে কেউ আঁটকাতে পারবে না।
মার্স ওয়ান নামের একটি এনজিও দাবি করেছে ২০২৩ মধ্যেই তারা মঙ্গলে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে ফেলবে। তবে মঙ্গলে যাওয়ার রাস্তা তারা করলেও ফেরাটা নিয়ে কিন্তু সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ মার্স ওয়ান মঙ্গলে যাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থার দাবি করলেও ফেরার পৃথিবীতে ফেরার দায়িত্ব মোটেও নেবে না বলে জানিয়েছে।
যদিও তাতে মোটেও থেমে থাকছে না পৃথিবীবাসির মঙ্গলের নাগরিক হওয়ার আগ্রহ। মার্স ওয়ানের দফতরে ইতিমধ্যেই মঙ্গলের পাকাপাকি বাসিন্দা হতে চেয়ে এক লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৩০,০০০ আবেদনই গেছে মার্কিন মুলুক থেকে। খুব পিছিয়ে নেই রাসিয়া, মেক্সিকো, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা।
শস্য শ্যামলা বসুন্ধরা ত্যাগ করে মঙ্গলের মোহে ইতিমধ্যেই মেতেছেন ১৮০০ জন ভারতীয়ও।
তবে উত্তর কোরিয়া, গ্যাবন, গিনি আর গ্রীনল্যান্ডের মানুষ জন অবিশ্যি স্বগ্রহ ছেড়ে ভিন গ্রহের স্থায়ী বাসিন্দা হতে এখনও পর্যন্ত মোটেও রাজি হননি।
আঠেরো বছর বয়স এবং মানসিক ভাবে স্থিতিশীল হলেই মঙ্গলের বসতিতে বাসা বাঁধার অনুমতি পাওয়া যাবে। apply.mars-one.com এই ওয়েব সাইটে গিয়ে চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে অন লাইন অ্যাপলিকেশন করতে হবে। খরচ পড়বে ৭মার্কিন ডলার।
তবে মঙ্গলবাসী হওয়ার জন্য কোনও ডিগ্রি বা ডিপ্লোমার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর ৩০০টি জায়গার প্রতিটি থেকে ৫০-১০০জনকে বেছে নেবে মার্স ওয়ান। দুই রাউন্ড ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এর মধ্যে বেছে নেওয়া হবে ২৮ থেকে ৪০জনকে। নির্বাচিত মঙ্গল যাত্রা এবং মঙ্গলে বসতি গড়ার জন্য যথাযথ ট্রেনিং দেওয়া হবে।
মার্স ওয়ান-এর ওয়েব সাইট অনুযায়ী ২০১৫তে ট্রেনিং শুরু হবে। ২০১৮তে দুটো রোভার পাঠানো হবে চাঁদে। একটি কার্গো মিশন হবে ২০২০তে। ২০২২ প্রথমবার মানুষ মঙ্গলে পা দেবে ২০২২-এ।
মার্স ওয়ান বাসিন্দাদের সঙ্গেই জল, খাবার, অক্সিজেনের ব্যবস্থা পাঠাবে মঙ্গলে। তারপর মঙ্গলের খনিজ সম্পদ ও আবহাওয়া থেকেই বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা হবে।

.