ভালো থেকো পেংপেং
বয়স হয়েছিল। তাই চোখে ভালো করে দেখতে পাচ্ছিল না পেংপেং। চিকিত্সকরা পরীক্ষা করে বুঝতে পারলেন ওর চোখে ছানি পড়েছে। তাই তড়িঘড়ি সেরে ফেলা হয় অস্ত্রোপচার। এখন আর কোনও সমস্যা নেই পেংপেংয়ের।
বয়স হয়েছিল। তাই চোখে ভালো করে দেখতে পাচ্ছিল না পেংপেং। চিকিত্সকরা পরীক্ষা করে বুঝতে পারলেন ওর চোখে ছানি পড়েছে। তাই তড়িঘড়ি সেরে ফেলা হয়
অস্ত্রোপচার। এখন আর কোনও সমস্যা নেই পেংপেংয়ের। সাংহাইয়ের চিড়িয়াখানায় এখন বেশ আনন্দেই রয়েছে বছর বারোর জায়ান্ট পান্ডা পেংপেং। সমস্যাটা শুরু হয়েছিল
বেশ কিছুদিন আগেই। আগের মতো আর খেলায় মাততে পারছিল না ও। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় শারীরিক পরীক্ষা। ধরা পড়ে চোখে ঝাপসা দেখছে পেংপেং। ছানি ধরা পড়ার
সঙ্গে সঙ্গেই পেংপেংকে নিয়ে যাওয়া হয় সাংহাইয়ের একটি পশু হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয় চোখে।
অস্ত্রোপচার হওয়ার পরও অবশ্য বেশ চিন্তায় ছিলেন চিকিত্সকরা। কিন্তু, সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে শুক্রবার কোনও ওষুধ ছাড়াই জ্ঞান ফিরে এল পেংপেংয়ের। চিকিত্সকরাও জানিয়েছেন এখন বেশ সুস্থই আছে বছর বারোর এই জায়ান্ট পান্ডা। তবে, সমস্যাও আছে। এখন ওর চোখে নিয়ম মেনে ওষুধ দেওয়া দরকার। কিন্তু, সেখানেই যত আপত্তি পেংপেংয়ের। ওর পছন্দের যাবতীয় খাবার দিয়ে ভুলিয়ে তবেই চোখে ওষুধ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন চিকিত্সকরা।
তবে, এখন আর চোখে কোনও অস্বস্তি নেই পেংপেংয়ের। আর কয়েকদিন পরেই নিজের চেনা রুটিনে ফিরে যেতে পারবে ও। অন্তত এমনটাই মনে করছেন চিকিত্সকরা।