রক্ত বৃষ্টি থেকে সবুজ পটি, এমন অদ্ভূত খবর যা রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল ২০১৫ সালে

২০১৫ সালে অনেক ঘটনাই তো ঘটেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের এই ৫টি খবর যা রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল বিভিন্ন দেশে। এক নজরে দেখে নিন খবরগুলিকে...

Updated By: Dec 28, 2015, 08:27 PM IST
রক্ত বৃষ্টি থেকে সবুজ পটি, এমন অদ্ভূত খবর যা রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল ২০১৫ সালে

ওয়েব ডেস্ক: ২০১৫ সালে অনেক ঘটনাই তো ঘটেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের এই ৫টি খবর যা রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল বিভিন্ন দেশে। এক নজরে দেখে নিন খবরগুলিকে...

১. রক্ত বৃষ্টি
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনের একটি গ্রামের ঝরনাতে হঠাৎ করেই লাল জল পড়তে শুরু করে। জলের এই রঙ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পরেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এই লাল জল রক্ত গোলা জল নয়। পরে জানতে পারা যায় এই জল আসলে হল শ্যাওলা গোলা জল। যেই শ্যাওলার রঙ পুরো লাল। শ্যাওলা জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে রক্তের রঙ ধারণ করেছিল। কিন্তু কোথা থেকে এই শ্যাওলাগুলি এসেছিল তা জানতা পারা যায়নি। তবে এই ধরণের শ্যাওলা উত্তর পশ্চিম স্পেন ছাড়া আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না এই শ্যাওলাগুলিকে।

২. সবুজ পটি
২০১৫ সালে কালো রঙের একটি বান পাউরুটি আবিষ্কার করা হয়। দেখার পর খেতেই ইচ্ছে করবে না এই পাউরুটিকে। তবে সুস্বাদু এই পাউরুটি খাওয়ার পর এক অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা গেছে। যারাই এই পাউরুটি খেয়েছে তাদেরই সবুজ রঙের পটি হয়েছে। কালো রঙের এই পাউরুটি পুরোপুরি হজম হয়না। যার ফলেই এই ধরনের পটি হয়েছে সকলের।

৩. বিশ্বের সব থেকে বড় নখ
বিশ্বের বিভিন্ন রেকর্ড ভাঙার জন্য ২০১৫ সালে অনেককেই পুরস্কৃত করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বের সব থেকে বড় ৩০ ফুট লম্বা নখ। শ্রীধর ছিল্লাল ১৯৫২ সাল থেকেই নিজের নখ কাটেননি। ৬২ বছর ধরে নখই কাটেননি ইনি। এখন ৭৮ বছর বয়স এনার। বাঁ হাতের নখগুলি বড় হওয়ার জন্য প্রাত্যহিক কাজ করার সময় বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হন ইনি। এমনকি ঘুমানোর সময়ও বেশ অসুবিধা হয়। কিন্তু তাও এতো বছর ধরে বিভিন্ন বাধার সঙ্গে লড়াই করে রেখে দিয়েছেন নখগুলিকে।

৪. মাকড়সা বৃষ্টি
২০১৫ সালের মে মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎই মাকড়সার বৃষ্টি শুরু হয়। ছোট ছোট মাকড়সাতে পুরো জায়গা ভরে যায়। এরপর হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত অঞ্চল ভর্তি হয়ে যায় মাকড়সার জাল দিয়ে।

৫. সাপের আহার
২০১৫ সালের জুন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার লেক ইল্যান্ড গেম রিসার্ভে ১২.৮ ফুটের একটি সাপ গিলে ফেলে একটি সজারুকে। তারপর পাথরের মতো পড়ে থাকে সেই সজারুটিকে হজম করার জন্য। ওই লেক কর্তৃপক্ষ দেখে মনে করেন সাপটি হয়ত মারাই গেছে। কারণ সজারুকে গিলে খেয়ে ফেলার পর তার কাঁটাগুলো সাপের পেটে ফুটে যেতে পারে। যার ফলেই মারা যেতে সাপটি।

.