‘তখন ক্ষমতায় ছিলাম না...’ রাফাল বিতর্ক এড়ালেন মাকরঁ

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ওলাঁদ বলেন, দ্যাসো সংস্থার কাছে ভারতই অনিল অম্বানির সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিল

Updated By: Sep 26, 2018, 02:57 PM IST
‘তখন ক্ষমতায় ছিলাম না...’ রাফাল বিতর্ক এড়ালেন মাকরঁ
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল বিতর্কে প্রশ্নের জবাব দিলেন তবে, কৌশলে মূল উত্তরটি এড়িয়ে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মাকরঁকে প্রশ্ন করা হয়, রাফাল চুক্তির বিষয়ে ফ্রান্স সরকার বা যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্যাসো-র কাছে অনিল অম্বানির সংস্থার নাম ভারত সুপারিশ করেছিল কি না? এই প্রশ্নের জবাবে মাকরঁ সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। রাফাল চুক্তি যখন হয়, তখন প্রেসিডেন্ট পদে আমি ছিলাম না।” এর পর মাকরেঁর যুক্তি, আমি এইটুকু নিশ্চিতভাবে জানি, রাফাল চুক্তি ছিল দুই সরকারের অভ্যন্তরীন চুক্তি। যদি এই বিষয়ে কিছু বলতেই হয়, তা হলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর করা মন্তব্যের কথা উল্লেখ করব। তবে, প্রধানমন্ত্রী সে দিন কী বলেছিলেন, সে বিষয়ে খোলসা করেননি মাকরঁ।

আরও পড়ুন- আধার সাংবিধানকভাবে বৈধ, বেসরকারি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়: সুপ্রিম কোর্ট

রাফাল চুক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত চুক্তি বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, এই চুক্তির সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা জড়িয়ে নেই। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতে যা বলেছিলেন, সেটাই গুরুত্ব দিতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ওলাঁদ বলেন, দ্যাসো সংস্থার কাছে ভারতই অনিল অম্বানির সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিল। এ বিষয়ে ফ্রান্স সরকারের কোনও ভূমিকাই ছিল না। ওলাঁদের এই মন্তব্যে রীতিমতো পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটে দেশের রাজনীতিতে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রথম থেকেই দাবি জানিয়েছিলেন, অনিল অম্বানির সংস্থাকে লাভবান করতেই রাফাল চুক্তির অংশীদার করে মোদী সরকার।

আরও পড়ুন- বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৫ জনের, আহত ৭

এমন আবহে ওলাঁদের মন্তব্যে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। তবে, তড়িঘড়ি ফ্রান্স সরকার এবং দ্যাসো পৃথকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, অংশীদার হিসাবে অম্বানির সংস্থাকে বেছে নিতে ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। পরবর্তীকালে ওলাঁদ তাঁর মন্তব্য থেকে পিছু হঠেন। জানা গিয়েছে ওলাঁদের মন্তব্যে ভারত এবং ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মাকরঁ সরকার। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ওলাঁদের মন্তব্যের জেরে দুই দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। এর ফলে কোনও দেশই আক্ষরিক অর্থে লাভবান হবে না     

.