UK Prime Minister Boris Johnson: পার্টিগেট-কাণ্ডের জেরে সংসদ থেকে আচমকাই ইস্তফা বরিস জনসনের...
UK Prime Minister Boris Johnson: পার্টিগেট নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি পেশ করা নিয়েই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। শুক্রবার এই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশের পরই বরিস সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করে দেন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিতর্কে নাম জড়াতেই ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। এবার ইস্তফা দিলেন সাংসদ পদ থেকেও। তিনি বরিস জনসন (Boris Johnson)। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সংসদকে ভুলপথে চালনা করার জন্য় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হতেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন। এই মামলায় জড়িয়েছে ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নামও।
আরও পড়ুুন: Colombian Amazon: ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার পরেও বেঁচে ৪ শিশু! ৪০ দিন ধরে আমাজনের জঙ্গলে...
পার্টিগেট নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি পেশ করা নিয়েই বরিস জনসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। শুক্রবার এই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশিত হল। এর পরই বরিস জনসন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বরিসের বিরুদ্ধে করা ওই তদন্তের ফলাফল থেকে জানা গিয়েছে, করোনাকালে ব্রিটেনের শাসকদল একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করেছিল। আর তারই দায় বর্তায় বরিসের কাঁধে।
আরও পড়ুুন: Massive Mountains: এভারেস্ট কি আর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয়? খোঁজ মিলল এর চেয়েও উঁচু পর্বতের...
তবে ঘটনা যা-ই ঘটুক, দীর্ঘ ইস্তফাপত্রে বরিস জনসন বিরোধী দলের উপরই দোষারোপ করেছেন। সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেও তিনি ওই ইস্তফাপত্রে জানিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন কিন্তু এখনও শেষ হয়ে যায়নি! ইস্তফাপত্রের শেষে তিনি লেখেন-- সাময়িকভাবে সংসদ ছাড়তে হচ্ছে বলে খারাপ লাগছে! বরিস জনসন জানান, প্রিভিলেজ কমিটির কাছ থেকে তিনি যে চিঠি পেয়েছেন, তাতে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, তাঁকে সংসদ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের নিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, ব্যঙ্গ করে সেটিকে 'ক্যাঙারু কোর্ট' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বরিসের ইস্তফার ফলে আচমকাই নির্বাচনের মুখে পড়ল ব্রিটেনের নির্বাচন কমিশন। তাদের এখন বিশেষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। লন্ডন শহরতলি থেকে জয়ী হয়ে হাউস অব কমন্সে সাংসদ হয়েছিলেন বরিস। তাঁর ইস্তফার পরে এখন এই শূন্যপদ পূরণ করার জন্য নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।