Donald Trump:ঠিক কী অপরাধ ট্রাম্পের? যুক্তরাষ্ট্রকে এতদিন কী ভাবে বিপন্ন করেছেন তিনি?
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গুপ্তচর আইনের লঙ্ঘন, যা ট্রাম্পের জন্যও যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে। এ আইন অনুসারে নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ, হস্তান্তর অথবা হারানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্পক নিয়ে বরাবরই বিতর্ক। যখন মসনদে ছিলেন তখনও, যখন ছেড়ে চলে গেছেন তখনও। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পকে নিয়ে উত্তাল। কেননা, তাঁর সব গুরুতর অপরাধ প্রকাশ্যে আসছে। ঠিক কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ? ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোটামুটি তিন রকমের অভিযোগ-- গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথির অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধাদান, গুপ্তচর আইনের লঙ্ঘন। এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গুপ্তচর আইনের লঙ্ঘন, যা ট্রাম্পের জন্যও যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে। এ আইন অনুসারে নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ, হস্তান্তর অথবা হারানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে। এ ছাড়া ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্শিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্টেও বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
কেন এত সব কাণ্ড?
ট্রাম্পের বাড়িতে যেসব নথি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সংক্রান্ত নথিও রয়েছে। বিদেশি শত্রুর হাতে যা পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পক্ষে তা যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারত। বলা হচ্ছে, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়ে আসার সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব নথি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী এসব নথির একমাত্র মালিক মার্কিন সরকার। তা হলে ট্রাম্প কেন এসব নথি সঙ্গে এনেছেন? তিনি ছাড়া আর কে কে এই নথি দেখার সুযোগ পেয়েছে? ইতিমধ্যেই বিদেশিদের হাতে সেসব পড়েছে কি? সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: FBI Raided Trump’s Home: আমেরিকায় কি গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা? এফবিআইয়ের তল্লাশিতে কতটা ফেঁসেছেন ট্রাম্প?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তল্লাশি করে চোরাই মাল উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। যেমন তেমন চোরাই মাল নয়, দেশের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর, এমন সব সর্বোচ্চ গোপনীয় ১১ বাক্স নথি। অনেকেই বলছেন, খানাতল্লাশির এ ঘটনাকে ব্যবহার করে ট্রাম্প রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি ইতিমধ্যে নিজেকে একজন 'রাজনৈতিক শহিদ' হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কতদূর চিঁড়ে ভিজবে তা নিয়ে ট্রাম্প-পক্ষই সম্ভবত খুব আত্মবিশ্বাসী নয়।