Eurotunnel: টানা ৬ ঘণ্টা জলের তলায়! বিশ্বের দীর্ঘতম এই পথে গরম, কম আলো আর আতঙ্ক...
পরে জানা যায়, অ্যালার্ম বাজেনি। কেন বিপদ ঘটার প্রাক-মুহূর্তে বিকল হয়ে গেল অ্যালার্ম, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানেলের মধ্যে। সহসাই। আতঙ্ক ছড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। কেন?যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মধ্যে তৈরি ইংলিশ চ্যানেলের জলের তলার টানেল দিয়ে একটি ট্রেন ফ্রান্সের ক্যালেইস থেকে ব্রিটেনের ফকস্টোনে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে ব্রেক ডাউন। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছিল। একটি রিপ্লেসমেন্ট ট্রেন দেওয়া হয়েছিল। তাতেই যাত্রীদের আনা হয়। কেন এই জাতীয় বিপদ সহসা ঘটল ? তেমন তো সচরাচর ঘটে না। কেননা, ট্রেনে অ্যালার্ম থাকে। কিন্তু পরে জানা যায়, অ্যালার্ম বাজেনি। কেন বিপদ ঘটার প্রাক মুহূর্তে বিকল হয়ে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট রেল দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক, তবে একেবারেই ঘটতে পারে না, এমন নয়। বিপন্ন যাত্রীদের অন্য গাড়িতে টানেল থেকে বের করে আনা হয়। আতঙ্ক কাটিয়ে তাঁদের স্বাভাবিক হওয়ার জন্য সময়ও দেওয়া হয়। বিপদগ্রস্ত ট্রেনটিকে পরে বের করে আনা হয়।
আরও পড়ুন: Pakistan Floods: তিনমাস ধরে ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় মৃত ৯০০-র বেশি! আতঙ্কে গোটা দেশ...
কিন্তু চলন্ত ট্রেনটি কোনও রকম নোটিস ছাড়াই টালেনের মধ্যে থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা প্রাথমিক ভাবে খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন মহিলা কাঁদতেও শুরু করে দেন। জানা যায়, ওই মহিলার সঙ্গে কেউ নেই, তিনি একাই ভ্রমণ করছিলেন। আর এক যাত্রীও তাঁর অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে জানান, যেখানটাতে ট্রেনটি থেমে গেল সেখানে খুব অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছিল, কেমন যেন লাগছিল জায়গাটা। ঘণ্টা পাঁচেক ওই ভাবে ওই টানেলে থাকাটা রীতিমতো কষ্টের ও আতঙ্কের। শেষে মিনিটপনেরো হেঁটে তবে ট্রেন মেলে। প্রসঙ্গত, ইংলিশ চ্যানেলের এই টানেলটি ট্রেন চলে বিশ্বে জলের তলায় নির্মিত এমন টানেলের মধ্যে দীর্ঘতম। প্রায় ৩৮ কিলোমিটারের পথ।