মিশরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যুমিছিল ক্রমেই বাড়ছে মিশরে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শুক্রবার অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রক্তাক্ত কায়রোও। শুধুমাত্র রামসেস স্কোয়ারেই ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহরির স্কোয়্যারে পৌঁছনোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সেনা। কিন্তু বিরোধ প্রদর্শনের রাস্তা থেকে সরতে নারাজ মুরসি অনুগামীরাও। মিশরের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার ব্রাসেলসে আলোচনায় বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যুমিছিল ক্রমেই বাড়ছে মিশরে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শুক্রবার অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রক্তাক্ত কায়রোও। শুধুমাত্র রামসেস স্কোয়ারেই ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহরির স্কোয়্যারে পৌঁছনোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সেনা। কিন্তু বিরোধ প্রদর্শনের রাস্তা থেকে সরতে নারাজ মুরসি অনুগামীরাও। মিশরের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার ব্রাসেলসে আলোচনায় বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা।
`মার্চ অফ অ্যাঙ্গার`। এই নামেই শুক্রবার প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল মুসলিম ব্রাদারহুড। জরুরি অবস্থা এবং লাগাতার কার্ফুর মধ্যেই পথে নামেন গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির অনুগামীরা। গত বুধবারের সেনা অভিযানে শয়ে শয়ে সমর্থকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের সুর ক্রমেই চড়াচ্ছে মুসলিম ব্রাদারহুড।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিস স্টেশনে হামলা, আগুন লাগানোর খবর আসছে অনবরত। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, সেনা অভ্যুত্থানকে উল্টে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। মহম্মদ মুর্সির জন্মস্থান, উত্তর কায়রোর শারকিয়াও শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
মুরসিঅনুগামীদের সঙ্গে ধুন্ধুমার সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে দফায় দফায় গুলি চলে। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। হোসনি মোবারকের জমানায় ইতি টানতে যে তাহরির স্কোয়্যার বিক্ষোভের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, সেখানে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
গত বুধবার মুরসি অনুগামীদের হঠিয়ে দিতে তাঁদের দুটি শিবিরে আচমকা হামলা চালায় সেনা। নির্বিচারে গুলি চলে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৩৮-এর কাছাকাছি। এরপর থেকেই ফের নতুন করে বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে মিশর।
এদিকে, বুধবারের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মিশরের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দে এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিশরের বর্তমান পরিস্থিতিতে। কিন্তু ঝুঁকতে নারাজ সেনাবাহিনী। সমস্ত প্রধান রাস্তা এবং সরকারি ভবনগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। বিক্ষোভের লেশমাত্র দেখলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ঢাল দেশের প্রতিরক্ষা আইন।