Durga Puja in Bangladesh: দুর্গাপুজোয় হামলার আশঙ্কা, দেশের সব মণ্ডপে কড়া নিরাপত্তা বাংলাদেশে
গতবছর কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে হামলা চালায় অশান্তি সৃষ্টিকারীরা। ভাঙচুর করা হয় মন্দির, প্রতিমা, মণ্ডপ। তার জেরে বাংলাদেশের ২২ জেলায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি। কুমিল্লার ঘটনার জেরে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঢাকা-সহ বাংলাদেশের সব প্রদেশে পুজোয় মেতেছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। উত্সবে সামিল সংখ্য়াগুরুরাও। কিন্তু উত্সবের এই ভিড় চিন্তার ছাপ ফেলেছে ঢাকা পুলিসের কপালে। কারণ গতবছর এই পুজোর সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মণ্ডপে হামলা চালিয়েছিল অশান্তি সৃষ্টিকারীরা। সেকথা মাথায় রেখে জঙ্গি হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না ঢাকা পুলিস। দুর্গা পুজোকে ধিরে দু'ধরনের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন ঢাকা পুলিসের কমিশনার শফিকুল ইসলাম। একটি হল সরাসরি জঙ্গি হামলা এবং অন্যটি হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে হাঙ্গামা তৈরি করা। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরির্দশনে যান। সেখানেই সংবাদমাধ্যমে একথা বলেন শফিকুল ইসলাম।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
গতবছর কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে হামলা চালায় অশান্তি সৃষ্টিকারীরা। ভাঙচুর করা হয় মন্দির, প্রতিমা, মণ্ডপ। তার জেরে বাংলাদেশের ২২ জেলায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি। কুমিল্লার ঘটনার জেরে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, কুমিল্লার পাশাপাশি চাঁদপুর, চাঁপাইনবাগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে মন্দিরে হামলা হয়েছে।
কলকাতার মতো ঢাকাতেও জমিয়ে পুজো হচ্ছে। এবার তৈরি হয়েছে ২৪২টি মণ্ডপ। সেইসব জায়গায় বিপুল মানুষের সমাগমের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিস। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকার পুলিস কমিশনার। প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এলাকার জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি থানায় থাকছে ৫-৭টি মোবাইল টিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম বলেন, একমাস আগে থেকে পুজোকে ঘিরে সব ধরনের অশান্তি মোকাবিলায় কাজ করছি। এর মধ্যেই জানতে পেরেছি ৫০ তরুণ তাদের বাড়ি থেকে বেপাত্তা। তাদের উপরে আমাদের নজর রয়েছে।
এবছর বাংলাদেশে ৩২ হাজারেরও বেশি পুজো হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিস, মেটাল ডিটেকটর, সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকছে। আজানের সময়ে জোরে মাইক বাজাতে নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।