নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ‘সাড়া’ দিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বিভিন্ন সময়ে ফোন এবং সাক্ষাতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। দুই দেশই দায়িত্বশীল ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায়ে

Updated By: Oct 30, 2018, 12:11 PM IST
নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ‘সাড়া’ দিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হোয়াইট হাউজ শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দিল, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা, ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট তুমুল ব্যস্ত থাকবেন তাঁর অন্যান্য সফরে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রজাতন্ত্র দিবসে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। গত জুলাইয়ে হোয়াইট হাউজের সংবাদ সচিব সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তরফে আমন্ত্রণপত্র এসেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন- দেহরক্ষীর গুলি চালনায় গ্রেফতার অর্জুন রণতুঙ্গা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিলল জামিনও

হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বিভিন্ন সময়ে ফোন এবং সাক্ষাতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। দুই দেশই দায়িত্বশীল ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায়ে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাতের সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও, হোয়াইট হাউজের এমন বার্তা আসার পরও নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন- লায়ন এয়ারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের চালক ছিলেন একজন ভারতীয়

চলতি বছরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রুকূটি উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বেশি শান দিয়েছে নয়া দিল্লি। রাশিয়ার থেকে এস ৪০০ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জুজু দেখালেও মোদী সরকারকে দমানো যায়নি। পাশাপাশি, ইরান সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও অব্যাহত রেখেছে ভারত। নয়া দিল্লি আবভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, চাবাহার বন্দর ইরানের থেকেও আফগানিস্তান এবং ভারতের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার যে ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত ভারত ‘উপেক্ষা’ করতে চাইছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণেই উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে, একই আমন্ত্রণ যখন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এসেও প্রত্যাখ্যান হল, স্বভাবতই জল্পনা উঠছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কী ভারতের নামও রাখছে হোয়াইট হাউজ?

.