World Elephant Day: বিশ্বের বৃহদাকার প্রাণীটির সম্বন্ধে এই তথ্যগুলি জেনে চমকে উঠতে পারেন...
শুঁড়ের সঞ্চালন, শব্দ বা শরীরী ভাষা দিয়ে হাতি তার নিজের কথা বলতে চেষ্টা করে। আর সে নিজে নানা কিছু বোঝে শুঁড় দিয়েই, কিংবা কোনও স্পর্শ মারফত। কখনও কখনও কম্পনের মাধ্যমেও। হাতি এক বিচিত্র জীব।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব হাতি দিবস প্রথম পালিত হয় ২০১২ সালের এই দিনে, ১২ অগস্ট। সেই হিসেবে একটি দশক পূর্ণ হল। এমনি-এমনি এমন একটা দিনের কথা ভাবা হয়নি। বিশ্ব জুড়ে বিপন্ন এই বৃহদাকার প্রাণীটি। তাকে বাঁচাতে হবে। তাই এই দিন-পরিকল্পনা। এই দিনটিতে হাতি নিয়ে শুধু নিজে সচেতন হলেই চলবে না, অন্যকেও সচেতন করতে হবে। সেটাও আমাদের দায়িত্ব। ধান ও কাঁঠালের মৌসম ছাড়াও খাদ্যের সন্ধানে প্রায়শই হাতি দল বেঁধে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। হাতির আক্রমণে অসহায় মানুষের প্রাণ যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। গোটা বিশ্ব জুড়ে এই ছবি। এই ভাবে ক্ষুধার্ত বন্য হাতি লোকালয়ে চলে এলে সাধারণ মানুষ বিপন্ন হন। তাঁদের প্রাণসংশয়ের কারণ থাকে বলে। তখন তাঁরা হাতিকে আক্রমণ করে বসেন। আর এই ভাবে লোকালয়ে খিদের জ্বালায় এসে প্রাণ হারায় হাতির দল। হাতিও অসহায়। খিদে পেলে খেতে আসে সে। হয়তো ক্ষতির মনোভাব নিয়ে আসে না। পরিবেশবিদেরা বারবার সে কথা মনে করিয়ে দেন। কিন্তু এর কোনও ফয়সালা হয় না। একদিকে হাতির বোবা কান্না, অন্যদিকে মানুষের আর্তনাদ।
আরও পড়ুন: World Elephant Day: এশিয়ার হাতি কি সংকটে? বিশ্ব হাতি দিবসে ফিরে দেখা...
এ হেন হাতি সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ তথ্য জেনে রাখুন:
১ গোটা দুনিয়ায়, দু রকমের হাতি পাওয়া যায়। একটি আফ্রিকান, অন্যটি এশিয়ান। কানের আকারগত ফারাকে এই দুই প্রজাতিকে আলাদা করে চেনা যায়।
২ বিশ্বের সবথেকে বড় স্তন্যপায়ী জীব হল এই হাতি। এর ওজন হতে পারে ৬ টনের মতো। পুরুষ হাতি সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছর বাঁচে। তবে বন্য হাতি বাঁচে ৬০ থেকে ৭০ বছর।
৩ হাতির শুঁড়ে অন্তত দেড় লাখ পেশি রয়েছে। হাতির শরীরের সব থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ হল এই শুঁড়।
৪ হস্তিশাবক জন্ম নেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই উঠে দাঁড়াতে পারে এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হাঁটা শুরু করে দেয়।
৫ মাত্র ২ বছর বয়স থেকে হাতির দাঁত গজাতে শুরু করে আর তারপর তা আজীবন বাড়তে থাকে। হাতির দাঁত বা আইভরি বিশ্ববাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়।
৬ একটি হাতি একদিনে ১৫০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেতে পারে!
৭ হাতির চামড়া ২.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মোটা হয়।
মানুষ ও হাতির সহাবস্থান ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চলেছে হাতির সংরক্ষণের জরুরি কাজটি। হাতি দিবসেই বিশ্বের হাতি সম্প্রদায়ের একটা হালহকিকত নেওয়া হয় নতুন করে। দেখা হয় বিশ্বের কোথায় হাতি সুরক্ষিত, কোথায় বিপন্ন। এই নিরিখে কোনও কোনও পরিবেশবিদ বলছেন, এশিয়ার হাতি 'এনডেঞ্জার্ড' আর আফ্রিকার হাতি 'ভালনারেবল'।