রাশিয়ার বন্যায় মৃত বেড়ে ১৭১
রাশিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭১। বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা একটু একটু করে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। চলছে ত্রাণ ও ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা সেবিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭১। বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা একটু একটু করে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। চলছে ত্রাণ ও ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা সেবিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের ক্রাইমস্ক শহরের বন্যা দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাকে বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাঁধ থেকে অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ার ফলে হড়কা বানে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। যদিও, প্রশাসনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শনিবার ক্রাইমস্ক শহরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপে তিনি ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে সোমবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। ককেশাস পর্বতমালার পাদদেশে কৃষ্ণ সাগরের তিরে সাতান্ন হাজার বাসিন্দার ক্রাইমস্ক শহর এই মুহূর্তে ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার সূর্যমুখী চাষ। অধিকাংশ বাড়িঘর, রাস্তাঘাট জলের তলায়। বৃষ্টি কমায় বাসিন্দারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। শহর জুড়ে চলছে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় কাজ করছে মেডিক্যাল টিম। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ঘরছাড়া বহু মানুষের ত্রাণ শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রাইমস্ক শহরে
বিদ্যুত, পানীয় জল ও জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বন্যার ফলে ক্রাসনোদার অঞ্চলের কৃষি ও পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যায় মৃতদের স্মরণ সোমবার রাশিয়ায় শোকদিবস পালিত হয়। রাজধানী মস্কো সহ বিভিন্ন জায়গায় অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা।