ফেরার রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের
একচল্লিশ বছরের অপেক্ষার শেষ হওয়ার প্রথম ধাপের শুরু। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে রুকুন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে। তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের মধ্যে সাতটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। যদিও এখনও অধরা আজাদ।
একচল্লিশ বছরের অপেক্ষার শেষ হওয়ার প্রথম ধাপের শুরু। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে রুকুন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে। তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের মধ্যে সাতটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। যদিও এখনও অধরা আজাদ।
উনিশশো একাত্তর সালের ২১ এপ্রিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে পাকিস্তানের সেনাদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন আজাদ। স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। দুহাজার নয় সালের ২৫ মার্চ শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। দুই নম্বর ট্রাইবুনালে মামলার বিচার শুরু হয়। ট্রাইবুনালে এ পর্যন্ত মোট নয়টি মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তারমধ্যে আজাদ মামলার রায় প্রকাশ হল সবচেয়ে আগে। এই মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী কোনও সাক্ষী হাজির করতে পারেননি।
আজাদের বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের মধ্যে সাতটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। যদিও এখনও অধরা আযাদ। মামলার শুরু থেকেই আজাদ ফেরার থাকায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাইবুনালের নিযুক্ত আইনজীবী। আজাদের মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফরিদপুর এবং কুটিয়ায় পথে নেমে ট্রাইবুনালের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।