ঝড়ের নাম-ঠিকানা
বদলে যাচ্ছে পরিবেশ। বাতাসের স্তরে স্তরে জমছে দূষণ। তার জেরে বদলাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জলবায়ু। প্রশান্ত মহাসাগরে তো বটেই, ভারত মহাসাগরেও ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র পর্যবেক্ষেণে ভারতসহ আটটি দেশ নিয়ে গড়া হয়েছে কমিটি। বছর ভর ঝড় নিয়ে গবেষণা চলে কমিটির নজরদারিতে। প্রতিটি ঝড়ই যেহেতু আলাদা, তাই তাদের নামকরণও হয় ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনুসারে।
বদলে যাচ্ছে পরিবেশ। বাতাসের স্তরে স্তরে জমছে দূষণ। তার জেরে বদলাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জলবায়ু। প্রশান্ত মহাসাগরে তো বটেই, ভারত মহাসাগরেও ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র পর্যবেক্ষেণে ভারতসহ আটটি দেশ নিয়ে গড়া হয়েছে কমিটি। বছর ভর ঝড় নিয়ে গবেষণা চলে কমিটির নজরদারিতে। প্রতিটি ঝড়ই যেহেতু আলাদা, তাই তাদের নামকরণও হয় ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনুসারে।
প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বাতাসের গর্জন। ঝড়ের দাপটে ফুলে উঠছে সমুদ্র। আছড়ে পড়ছে ঢেউ। তছনছ হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, ঘরবাড়ি। এটাই ঘুর্ণিঝড়ের চেনা চেহারা। কিন্তু দেখতে এক হলেও প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় এক নয়। প্রতিটির চরিত্র আলাদা। ঝড়ের কেন্দ্র, বাতাসের গতিবেগ, প্রতিবার বদলে যায় সবকিছু। সেকারণেই প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা আলাদা নাম। ভারত মহাসাগর থেকে উত্পত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত করে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডকে। এসব দেশে আছ়ডে পড়া ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করে ভারতের মৌসম ভবন। এরপর নামকরণের পালা। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুসারে নামকরণের সুযোগ পায় আটটি দেশ। প্রতিটি দেশকে পাঠাতে হয় চারটি করে নাম। ঝড়ের ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা অনুযায়ী নাম বেছে নেয় মৌসম ভবন।
২০০৪ সাল থেকে ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলিতে আছড়ে পড়েছে প্রায় ৩১টি ছোট-বড় ঘূর্ণিঝড়। সেগুলির নামকরণের তালিকা একবার দেখে নেওয়া যাক:
দেশ ঝড়ের নাম
বাংলাদেশ অনিল, অগ্নি, নিশা, গিরি
ভারত অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জাল
মালদ্বীপ হিবারু, গোনু, আইলা, কেইলা
মায়ানমার প্যার, ইয়েনিন, ফি আন, থানে
ওমান বাজ, সিডার, ওফর্ড, মুরজান
পাকিস্তান ফানুস, নার্গিস, লায়লা, নীলম
শ্রীলঙ্কা মালা, রেশমি, বন্দি, মহাসেন
থাইল্যান্ড মুকদা, খাইমুখ, ফেত
ভারত মহাসাগরের বুক থেকে উঠে এসে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়া সাম্প্রতিক ঝড়ের নাম ছিল মহাসেন। একদা শ্রীলঙ্কার রাজা মহাসেন ধ্বংস করেছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বহু মন্দির। সেকারণেই ধ্বংসাত্মক ঝড়ের নাম রাখা হয় ধ্বংসের প্রতীক সেই রাজার নামে। এমনই সব বিচিত্র ইতিহাস রয়েছে নামগুলির পিছনে। পরবর্তী ঝড়ের নামকরণ হবে থাইল্যান্ডের দেওয়া নামে। নাম হবে ফাইলিন। এভাবে শেষ হবে বত্রিশটি নামের তালিকা। এরপরের ঝড়গুলির নামকরণের জন্য ইতিমধ্যেই আরও বত্রিশটি নাম জমা দিয়েছে আটটি দেশ।