করোনার সাইডএফেক্ট! গুগলে কর্মী নিয়োগে বড়সড় পদক্ষেপের কথা জানালেন পিচাই
বিশ্বের অন্যতম বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি গুগল। আর সেখানেই যদি করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন ছোট-বড় সংস্থাও সেই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা ধরে নেওয়া যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্তব্ধ অর্থনীতির শিকার বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলিও। বুধবার Google-এর সিইও সুন্দর পিচাই জানালেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চলতি বছরে যতটা সম্ভব খরচ কমানোর চেষ্টা চালানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির মধ্যে কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগের কথাও জানালেন তিনি। অত্যাবশকীয় ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন, ট্রাভেল, ডেটা সেন্টার ও মেশিন ইত্যাদি খাতে খরচের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
গুগলের এক মুখপাত্র জানান, একদমই যে নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকবে তা নয়। প্রয়োজনীয় স্থানে সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া যাঁদের চাকরি কনফার্ম হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজে বহাল করা হয়নি, সেই ফাঁকগুলো পূরণ করাই এখন সংস্থার মূল লক্ষ্য হবে।
গুগলের এই সিদ্ধান্ত কেন প্রাসঙ্গিক? বিশ্বের অন্যতম বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি গুগল। আর সেখানেই যদি করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন ছোট-বড় সংস্থাও সেই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা ধরে নেওয়া যায়। অর্থাত্, আগামী ১ বছরে যে চাকরির বাজার যে খুব একটা চাঙ্গা হবে না, সেই আন্দাজ করাই যায়।
বুধবারের ই-মেলে পিচাই লেখেন, "বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে আঘাত এসেছে। গুগলও এই বিশ্বমারী আর্থিক প্রভাব থেকে সুরক্ষিত নয়।" গুগলের আয়ের অন্যতম বড় উত্স বিজ্ঞাপন সেক্টর। আর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে প্রায় সব সংস্থাই কোনও না কোনওভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কমছে বিজ্ঞাপনদাতার সংখ্যা। ফলে তার প্রভাব পড়ছে গুগলের অ্যাডসেন্সে।
বুধবার শেয়ার বাজারে গুগলের শেয়ার দর ১ শতাংশের কিছু কম পতন হয়। এই নিয়ে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ শতাংশ পতন হয়েছে গুগলের শেয়ার দরে।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, ট্রাম্প বলছেন, কঠিন সময় পেরিয়ে গিয়েছে আমেরিকার