পাকিস্তানে ২,০০০ ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৮২, উদ্বিগ্ন ইমরানের প্রশাসন
পঞ্জাব প্রদেশের সামান্য পরেই আছে সিন্ধ প্রদেশের স্থান। সিন্ধ প্রদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ২,০০০ ছাড়িয়েছে পাকিস্তানে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে পাকিস্তানে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্য ২,০৪১ জন। গত কয়েক ঘণ্টাতেই নতুন করে পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে ১০৪ জনের দেহে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এর মধ্যে আইসোলশনে রেখে চিকিত্সার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন ৮২ জন।
ক্রমশই উর্ধ্বমুখী পাকিস্তানের করোনা আক্রান্তের রেখাচিত্র। মঙ্গলবারই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৮৬৫ জন। পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পঞ্জাব প্রদেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। সেখানে প্রায় ৬৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস মিলেছে। ফলে, পঞ্জাব প্রদেশ যে কার্যত সেই দেশের করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে তা বলা যায়।
আরও পড়ুন- 'একে অপরের গায়ে উঠছেন কেন?' বিনামূল্যে রেশন নিয়ে হুলুস্থূল, সতর্ক করলেন খাদ্যমন্ত্রী
পঞ্জাব প্রদেশের সামান্য পরেই আছে সিন্ধ প্রদেশের স্থান। সিন্ধ প্রদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ৫৮ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে।
অন্যান্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশের মতোই জনসাধারণকে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার আর্জি জানিয়েছে ইমরান খানের সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশের কোনও প্রভাবই সেভাবে পড়েনি এখনও। প্রশাসনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে এখনও সচেতনতার অভাব স্পষ্ট ইসলামাবাদে।
পাকিস্তানের হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রেখে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে মাঝারি হোটেলগুলিকেও সাময়িকভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর আগে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পরীক্ষামূলক ওষুধ দিয়েও করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিত্সকরা।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬০,১৭৮ জন। প্রাণ হারিয়েছে ৪২,৩৪৪ জন। চিকিত্সায় সুস্থ হয়েছে ১,৭৮,৪৪২ জন।