বড়েদিলওয়ালা বড়দিনের `নো থিম` পার্টি
ঝিনচ্যাক ক্রিসমাস জাগ্রত দ্বারে। বড়দিনে কী আর ছোটখাট প্ল্যান হয়। দিনের শুরু থেকেই শুরু করে দিন বড়দিনের বড় তোড়জোড়। সক্কাল সক্কাল টিফিনবক্সে লুচি আলুর দম আর কমলালেবু পুড়ে সপরিবারে, সবান্ধবে রওনা দিন চিড়িয়াখানার উদ্দেশে। ব্যাডমিন্টন র্যাকেট গুলো নিতে কিন্তু ভুলবেন না। শীতের মৌতাতে বাঘ, সিংহ, হাতি, কাকাতুয়া আর পরিযায়ী পাখির সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিন।
ঝিনচ্যাক ক্রিসমাস জাগ্রত দ্বারে। বড়দিনে কী আর ছোটখাট প্ল্যান হয়। দিনের শুরু থেকেই শুরু করে দিন বড়দিনের বড় তোড়জোড়। সক্কাল সক্কাল টিফিনবক্সে লুচি আলুর দম আর কমলালেবু পুড়ে সপরিবারে, সবান্ধবে রওনা দিন চিড়িয়াখানার উদ্দেশে। ব্যাডমিন্টন র্যাকেট গুলো নিতে কিন্তু ভুলবেন না। শীতের মৌতাতে বাঘ, সিংহ, হাতি, কাকাতুয়া আর পরিযায়ী পাখির সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিন।
বিকেলবেলা ফুল্টু পার্টি টাইম। এবারে না হয় আপনার ক্রিসমাসে থিম হোক `নো থিম`। উল্লাট মস্তিকে কোনও `থিম`-এর সফিস্টিকেশনে নাই বা বাঁধলেন। খানা, পিনা এবং বেসুরো গলার সমবেত গানা। ব্যাস, আর কী চাই? পোশাক-আশাকেও নো কড়াকড়ি। পাতি টি-শার্ট, জিন্স মায় পাজামা, বারমুডায় ভরপুর রদেঁভ্যু। কেকতো থাকছেই। তবে বাড়িতে বানানো কেক কিন্তু মাস্ট। সঙ্গে বৈকালিক গপ্পের সূচনার জন্য মুড়ি-চানাচুর আর চা। রাতের পানীয়ওটা স্ব-স্ব পছন্দ মাফিক। `সবে মিলে করি কাজ, মরি বাঁচি নাহি লাজ` মন্ত্রে বানিয়ে নিন ডিনারটা। মনে রাখবেন হরেকহাতের হরেক রকম খানার হরেকরকম্বা সবসময় সুস্বাদুই হয়। অনেক সাধের পরে পাওয়া ছুটির দিন। প্রতিটা মুহূর্ত শুধু চুটিয়ে মজা করুন। ওই যে আপনার গিটারটা, যেটা বহুদিন ধরে দেওয়ালের গায়ে ঝুলেই আছে, ঝুল জমেছে তারে, তাকে মনে করে নামিয়ে আনুন। টুংটাং সুর তুলে বন্ধুদের আপনার গায়কী প্রতিভার ঝলকটা দেখিয়ে দিন তো দেখি। এতোল-বেতোল কবিতার খাতাটাকেও ঝুলি মুক্ত করুন। বড়দিন বলে কথা, বন্ধু, সখা, ভাই-বোন সবার মনটাও বড় বেশি দিলদরিয়া হয়েই থাকবে। সেই ফাঁকে শুনিয়ে দিন আপনার কোনও দিনও শুনতে না চাওয়া কবিতাগুলো। ঘরটর বিশেষ না সাজালেও চলবে। খালি কয়েকটা মোজা ঝুলিয়ে রাখুন আনাচে-কানাচে। আজকাল কত কিছুইতো হচ্ছে, বলাতো যায় না সান্তাক্লজ সাদা দাঁড়ি ঝুলিয়ে টাপুস-টুপুস উপহারের ঝুলি উপুড় করে দিতেই পাড়েন আপনার মোজায়। (খালি একখান সতর্কতা। মোজা গুলো যেন কাচা হয়, গন্ধের চোটে সান্তা বুড়ো পালিয়ে গেলে মুশকিল)। জানলার গ্রিলে এলোমেলো চিড়িকপিড়িক এলইডি লাইটের সমাহার কিন্তু রাতের আড্ডার অন্য মাত্রা দিতে পারে।
শেষপাতের পরামর্শ: যদি অনেক দিনের না বলা প্রেম মনের মধ্যে বুজবুজি কাটে, বলবো বলবো করেও বলা না হয়ে ওঠে তবে এমন দিন হাতছাড়া করবেন না। ওই যে বললাম বড়দিনে সবার মনটাই বড় বেশি উদার থাকে। চ্যান্স পেলে আপনার প্রপোজালও সম্মতির সোহাগে ডান্সটা করে ফেলতেই পারে। অতএব, এসুযোগ হারাবেন না ভুলেও।