বাড়ছে ক্ষোভ , ছড়াচ্ছে বিক্ষোভ , ফুঁসছে ব্রাজিল
সাম্বা নয়। বিখ্যাত রিও ডি জেনিরোর কার্নিভ্যাল নয়। দেশজো়ডা বিক্ষোভের জেরে এখন ব্রাজিলের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। রাজধানী ব্রাসিলিয়াসহ দেশের একশোটির বেশি শহর এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে। বিশ্বকাপ ফুটবল এবং অলিম্পিকের খরচ তুলতে বাড়তি কর বসানো যাবে না। এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ব্রাজিলের মানুষ। খাস ফুটবলের দেশে ফুটবলের নামে অর্থ অপচয়ের এই বিরোধিতা, চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।
সাম্বা নয়। বিখ্যাত রিও ডি জেনিরোর কার্নিভ্যাল নয়। দেশজো়ডা বিক্ষোভের জেরে এখন ব্রাজিলের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। রাজধানী ব্রাসিলিয়াসহ দেশের একশোটির বেশি শহর এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে। বিশ্বকাপ ফুটবল এবং অলিম্পিকের খরচ তুলতে বাড়তি কর বসানো যাবে না। এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ব্রাজিলের মানুষ। খাস ফুটবলের দেশে ফুটবলের নামে অর্থ অপচয়ের এই বিরোধিতা, চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। গত কয়েকদিনে দেশের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারী লক্ষ জনতা। দেশের একশোটিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। পথে নেমেছেন সব মিলিয়ে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বাড়তি ভাড়া কমানো দাবিতে। এখন দাবি উঠেছে উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবার। সামান্য ভাড়া কমানোর আন্দোলন পরিণত হয়েছে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনে।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল হবে ব্রাজিলে। ২০১৬ সালে অলিম্পিক। দুটি কর্মসূচির পিছনে খরচ হবে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আশ্চর্যের বিষয়, উন্নত সামাজিক পরিষেবা এবং উন্নত মানের জীবনযাত্রার দাবিতে ফুটবল এবং খেলাধূলার পিছনে এত বিপুল অর্থব্যয়ের কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না ব্রাজিলের মানুষ। এমনকী, ফেডারেশন কাপের ৫ টি ম্যাচে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এর জেরে উদ্বিগ্ন ফিফা। গোলমালের আশঙ্কায় মোতায়েন করা হচ্ছে বাহিনী, যা আগে ব্যবহার করা হত কার্নিভ্যালের সময় হিংসার ঘটনা ঠেকাতে। সাম্বা ফুটবলের দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের নামে অর্থ অপচয়ের বিরোধিতায় নামছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, এটা নিঃসন্দেহে ব্রাজিলের মতো দেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ফেরা।
দেশজোড়া এই বিক্ষোভ মোটেই শান্তিপূর্ণ নয়। রায়ো ডি জেনিরোতে বিক্ষোভ ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয় পুলিসকে। রায়োর সব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন সিল করে দেওয়া হয়েছে। রিবেইরো প্রেতো শহরে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক বিক্ষোভকারীর। আহত ২৬ জন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় রাতভর পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে বা়ডতি ভা়ডা কামনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কয়েকটি শহর কর্তৃপক্ষ। এরপরেই সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, একবার যখন রাজনীতিকরা তাঁদের কথা শুনেছেন, তাহলে চাপ দিলে আরও সুবিধা আদায় করা যাবে। দেশে দারিদ্র কমুক, উন্নত হোক জীবনযাত্রার মান, এটাই দাবি দলহীন লক্ষ লক্ষ বিক্ষোভকারীর। দাবি সমর্থন করেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফ। ফুটবলের চেনা ব্রাজিলের ছাঁচ ভেঙে উঠে আসছে অন্য এক ব্রাজিল, যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্বের তাবত্ রাজনীতিকদের।