প্রতিপক্ষ জেরমকে হারিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বরিস জনসন
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন এই দুই প্রাক্তন ও বর্তমান বিদেশমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন বরিস জনসন
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশামতোই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বরিস জনসন। মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে ব্যাপক ব্যবধানে জিতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখা নিশ্চিত করে ফেললেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজার্ভেটিভ পার্টিরই নেতা জেরম হান্টকে হারালেন তিনি। জনসন ও হান্ট যথাক্রমে ভোট পেয়েছেন ৯২,১৫৩ ও ৪৬,৬৫৬টি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন এই দুই প্রাক্তন ও বর্তমান বিদেশমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন বরিস জনসন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ব্রেক্সিটকে সফলভাবে ডেলিভার করতে হবে একসঙ্গে। আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বরিস জনসনের সঙ্গে। উল্লেখ্য, টেরেসা মে-র ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বরিস জনসন।
আরও পড়ুন- সত্যি হলে প্রতারণা করেছেন মোদী, কটাক্ষ রাহুলের, শশীর উলটো সুর, আলটপকা মন্তব্য ট্রাম্পের
নির্বাচনের সময় জনসনের স্লোগান ছিল, “ডেলিভার, ইউনাইটেড, ডিফিট”। জয়ের পরে আরও একটি শব্দ যোগ করলেন। তা হল ‘এনার্জাইস বা কর্মশক্তি’। তিনি বলেন, “প্রত্যেক অবিশ্বাসীদের উদ্দেশে বলতে চাই, দেশ এবার কর্মশক্তিতে উজ্জীবিত হবে। এবার করে দেখাতে হবে। প্রচার শেষ। কাজ শুরু।” বিরোধী লেবর পার্টির নেতা জেরেমি করবাইন জানান, উনি (বরিস জনসন) দলের সমর্থনে জিতেছেন, দেশের নয়। তিনি সমালোচনা করে বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে চলেছে। বরিসের এই জয়ে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইটে লেখেন, ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে স্বাগত।