Bangladesh MP Killed: এখনও মেলেনি এমপি আনারের লাশ, অসহায় মেয়ের প্রশ্ন, বাবার কি জানাজাও হবে না?
Bangladesh MP Killed: ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে তারা ধন্ধে রয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীরা ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড কিনেছিল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল অজিমকে খুন করে দে আশি টুকরো করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস আলাদা করা হয়েছে। তারপর সেই মাংসে হলুদ মাখানো হয়েছে গন্ধ ঢাকার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন সেই দেহাংশ কোথায় ফেলেছে খুনিরা। কলকাতার আসপাশের বিভিন্ন এলাকা খুঁজেও কোনও দেহাংশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস। এমনই এক পরিস্থিতিতে আনারের মেয়ে ডরিনের প্রশ্ন, বাবার জানাজাও কি হবে না?
আরও পড়ুন-এখনও মেলেনি বাবার লাশ, রাজনীতিতে নামতে চান নিহত সাংসদের মেয়ে
শুক্রবার ঝিনাইদহে এক মানববন্ধনে যোগ দেন সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে ডরিন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমার বাবার কি জানাজার নামাজ হবে না? মানুষের দুর্ঘটনা বা রোগব্যাধিতে মৃত্যু হয়। কিন্তু আমার বাবাকে খুনিরা হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করেছে। সেই টুকরাতে হলুদ মশলাও মিশিয়েছে। কী কষ্ট দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে খুনিরা। আমি জীবনেও তা ভুলতে পারব না। আমি আমার বাবার লাশের এক টুকরো অংশ দেখতে চাই।’
আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ খুঁজতে ভাঙড়়ের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। বেশ কিছু দিন হয়ে গেলে, দেহাংশ পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা তা মাছে খেয়ে ফেলতেও পারে। ফলে এভাবে দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন। রোববার ভাঙড়ের খালে তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ডিএমজি এবং এলাকার জেলেদের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। দুপুরের পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা। ফলে দেহাংশ খুঁজে না পাওয়া গেলে তদন্ত শেষ হবে না।
ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে তারা ধন্ধে রয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীরা ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড কিনেছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, এগুলো হয়তো ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ধুয়ে, মুছে ডিএনএ-সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করতে ব্যবহার হয়েছে।
এদিকে, আনারের খুনের তদন্তে ভারতে এসেছেনব বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান। সাংসদ খুনে মূল অভিযুক্ত কসাই জিহাদেকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়। যে ফ্ল্যাটে আনার খুন হন সেই ফ্ল্যাটেও জিহাদকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিসের সঙ্গে ছিলেন সিআইডি অফিসাররাও। নিউটাউনের অভিজাত আবাসন যেখানে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, সেখানে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় জিহাদকে। তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যেখানে মৃতদেহ ফেলা হয়েছিল সেই ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকাতেও নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে।
জি ২৪ ঘণ্টার তরফে বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন এমপি কে খুন করা হল, তদন্তে কি পেলেন আপনারা? বাংলাদেশের পুলিসের তরফে অবশ্য জানানো হয়, এখনও তদন্ত চলছে। বাংলাদেশে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)