লোহার পাতের বদলে বাঁশের চটা! বাংলাদেশের ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
উঠে এসেছে গায়ের রোম খাঁড়া করে দেওয়ার মতো তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল লাইনে লোহার বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে বাঁশ! শুনেই আঁতকে উঠতে পারেন। কিন্তু এমনই কাণ্ড ঘটছে বাংলাদেশে। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের মৌলভাবাজারের কুলাউড়ায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাতে চার জন মারা যান। তার পর থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকে। যাত্রী নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি রয়েছে তাদের। এমনই অভিযোগ উঠেছিল। তার পর থেকেই বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম হালফিলে একাধিক রেল দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছিল। তাতেই উঠে এসেছে গায়ের রোম খাঁড়া করে দেওয়ার মতো তথ্য।
আরও পড়ুন- মদের গুদামে আগুন, পুড়ে নষ্ট ৪৫,০০০ ব্যারেল দামি হুইস্কি
ব্রিজের উপর রেল লাইনের মাঝে লোহার বা শক্ত কাঠের পাটাতনের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। যদিও বিতর্কের মাঝে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেল লাইনের মাঝে বাঁশ ব্যবহারের সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাদের এমন যুক্তি ধোপে টিকছে না। বরং বাঁশ ব্যবহারের ফলেই দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- লিবিয়ায় শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় হত ৪৪, গুরুতর জখম ১৩০
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. শামসুল হক জানিয়েছেন, ''মাটির উপর রেল লাইন থাকলে তবু না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্রিজের উপর পাতা রেল লাইনে বাঁশের ব্যবহার ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ায়। ব্রিজ ক্রস করার সময় মাটি থাকে না। সেখানে ব্যালাস্ট-ও দেওয়া যায় না। সেই জন্য হোল্ডিং নাট দিয়ে তক্তাগুলো স্টিল গার্ডার-এর সঙ্গে জুড়ে রাখতে হয়। রেল চলাচলের সময় যে ভাইব্রেশন হয় তাতে স্লিপারগুলো জায়গা থেকে সরে যায়। স্টিল বা লোহার পাত দিয়ে ব্রেসিং দিতে হয়। যাতে স্লিপারগুলো জায়গা থেকে না নড়ে। অনেক সময় শক্ত কাঠের পাটাতনও দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে স্টিল, লোহা বা কাঠ চুরির সম্ভাবনা বেশি। তাই রেলের তরফে বাঁশ ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এমনটা হয়ে থাকলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।''