Fire at Egypt: মিশরের চার্চে ভয়াবহ আগুনে ৪১ জনের মৃত্যু, আহত বহু
বহুদিন ধরে ধর্মস্থানটি আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ও দিশা প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে এসেছে। কথিত আছে, সেন্ট মার্ক এই চার্চে এসেছিলেন। সেই কারণেও চার্চটির গুরুত্ব প্রবল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিশরের রাজধানী কায়রোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত বহু। অন্ততপক্ষে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে কায়রোর কপটিক চার্চে। এই চার্টটি খ্রিস্টীয় ভক্ত পরিসরে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃত ও মর্যাদামণ্ডিত। বহুদিন ধরে এই ধর্মস্থানটি আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ও দিশা প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে গিয়েছে। কথিত আছে, সেন্ট মার্ক এই চার্চে এসেছিলেন। তাঁর উপস্থিতির সূত্রেই চার্চটি আরও বিশেষ করে সম্মানিত ও শ্রদ্ধান্বিত। এ হেন চার্চে ঘটা এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে হতবাক সংশ্লিষ্ট মহল। কী ভাবে আগুন লাগল? জানা গিয়েছে, চার্চটি খুবই ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত। এবং সন্নিহিত অন্য একটি চার্চ, যেটি আবু সেফেইন নামে পরিচিত, তাতে আগুন লাগে। এবং সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, মূলত ইলেকট্রিক্যাল শর্ট-সার্কিট থেকেই আগুনটা ছড়িয়েছে। রবিবার সকালে আগুন লাগে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে ১৫টি দমকলের গাড়ি এসেছিল। এসেছিল অ্যাম্বুল্যান্স। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jerusalem Terror Attack: জেরুজালেমে বাসে বন্দুকধারীর হামলা, আহত এক অন্তঃসত্ত্বা-সহ ৮
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা এল-সিসি ফোনে কপটিক চার্চের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাঁকে সান্ত্বনা দেন। তিনি আশ্বাসও দেন এই বলে যে, তিনি সমস্ত ঘটনার উপর নজর রাখছেন। যাতে সমস্ত রকম ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজে নেমে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশ তাঁর অফিস মারফত দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিশরের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১০ শতাংশ খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ভুক্ত।
অন্য একটি ঘটনায়, ইজরায়েলের জেরুজালেমের ওল্ড সিটি এলাকায় একটি বাসে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। ইজরায়েলে শনিবার রাতে ওই হামলার পরে বন্দুকধারীকে খুঁজছে সে দেশের পুলিস। ইজরায়েলের চিকিৎসক ও পুলিসের আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা সংকটজনক। জানা গিয়েছে, বাসটি ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে একটি পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে ছিল। ইজরায়েলি যাত্রীরা বাসটি ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বাও আছেন। ওই এলাকার অন্য এক পার্কিং লটে দ্বিতীয় বন্দুক হামলা হওয়ার খবরও প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম। তদন্ত শুরু করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে ইজরায়েলি পুলিস।