ইকুয়েডরে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
ফের খবরের শিরোনামে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ! মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে সশরীরে হাজির হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন যৌন হেনস্থার জোড়া মামলায় অভিযুক্ত উইকিলিক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সালের দুই সুইডিশ মহিলাকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনের আদালতে মামলা রয়েছে।
ফের খবরের শিরোনামে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ! মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে সশরীরে হাজির হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন যৌন হেনস্থার জোড়া মামলায় অভিযুক্ত উইকিলিক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সালের দুই সুইডিশ মহিলাকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনের আদালতে মামলা রয়েছে। অবশ্য ইতিমধ্যেই অ্যাসাঞ্জ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ব্রিটেনের নিম্ন আদালত এবং লন্ডন হাইকোর্ট সুইডেন সরকারের আবেদন সাড়া দিয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে সে দেশে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ৪০ বছরের উইকিলিক্স-প্রতিষ্ঠাতা। গত ৩০ মে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টের জুরি বোর্ডে ৫-২ ভোটে খারিজ হয়ে যায় অ্যাসাঞ্জের আবেদন। গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় অ্যাসাঞ্জকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে প্রত্যর্পণ এড়াতেই উইকিলিক্স-প্রতিষ্ঠাতা এই কৌশল নিলেন বলে মনে করছে সুইডিশ প্রশাসন। ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী রিকার্ডো প্যাটিনো জানিয়েছেন তাঁরা অ্যাসাঞ্জের আর্জি খতিয়ে দেখবেন। অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে ইকুয়েডর ও মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের মধ্যে বৈদেশিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের অভিযোগ, সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকলে মার্কিন ষড়যন্ত্রে তাঁদের মক্কেলের প্রাণনাশের সম্ভাবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।