মেয়েদের ওপর বর্বরতার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন আর্জেন্টিনার মহিলারা
বর্বরতার প্রতিবাদ। ১৬ বছরের লুসিয়া পেরেজের ওপর নৃশংসতার বহর দেখে শিউরে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। শুধু লুসিয়া নয়, মেয়েদের ওপর চলা হাজারো অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন আর্জেন্টিনার মহিলারা।
ওয়েব ডেস্ক : বর্বরতার প্রতিবাদ। ১৬ বছরের লুসিয়া পেরেজের ওপর নৃশংসতার বহর দেখে শিউরে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। শুধু লুসিয়া নয়, মেয়েদের ওপর চলা হাজারো অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন আর্জেন্টিনার মহিলারা।
চলতি মাসের ৮তারিখ। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের একটি হাসপাতালে এক কিশোরীকে ফেলে রেখে পালায় দুই ব্যক্তি। অতিরিক্ত মাদক সেবন করেছে কিশোরী, ডাক্তারদের এমনই জানিয়েছিল তারা। কিন্তু পরীক্ষার পর দেখা যায় ১৬ বছরের লুসিয়া পেরেজের ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রথমে কিশোরীকে জোর করে কোকেন খাইয়ে বেঁহুশ করা হয়। এরপর ৩জনে মিলে চলে গণধর্ষণ। নৃশংস এই অত্যাচারের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় কোনও কিছু। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হূদরোগে আক্রান্ত হয় লুসিয়া। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, আর্জেন্টিনায় প্রতি ৩৬ ঘণ্টায় একজন মহিলার মৃত্যু হচ্ছে শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়ে। ধর্ষণ এবং ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বন্ধ করার জন্য কঠোর হচ্ছে আইন। কিশোরীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ৩জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরণের ঘটনা কমছে কই? সমালোচকদের মতে, কড়া আইন থাকলেও আইনের ফাঁকফোকরেই পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।
তাই বুধবার পথে নেমেছেন বুয়েন্স আয়ার্সের মহিলারাই। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন শিক্ষিকা, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে দোকানের মহিলা কর্মচারীরাও। কালো পোশাক পড়ে, নিজেদের কর্মক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় মিছিল করলেন তাঁরা। হাতের ফেস্টুনে লেখা, মেয়েদের ওপর অত্যাচার বন্ধ হোক।
প্রশাসন বলছে, আইন আরও কড়া করা হচ্ছে। তবু নৃশংসতা মাত্রা কখনও কখনও এক করে দেয় এ দেশের নির্ভয়া ও দেশের লুসিয়াকে। আর এভাবেই মিলিয়ে দেয়ে বিশ্বের দুই গোলার্ধের দুই দেশের মহিলাদের প্রতিবাদকেও।