ওকুসাজে মরুভূমিতে মিলল সামুদ্রিক প্রাণীর জীবাশ্ম

ওকুসাজে মরুভূমিতে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জীবাশ্মের হদিস পেলেন পেরুর প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাচীন তিমির জীবাশ্মও। এই আবিষ্কার আরও প্রাচীন স্থলচর স্তন্যপায়ীদের সঙ্গে যোগসূত্রে খুঁজে বের করায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

Updated By: Sep 15, 2013, 08:44 PM IST

ওকুসাজে মরুভূমিতে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জীবাশ্মের হদিস পেলেন পেরুর প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাচীন তিমির জীবাশ্মও। এই আবিষ্কার আরও প্রাচীন স্থলচর স্তন্যপায়ীদের সঙ্গে যোগসূত্রে খুঁজে বের করায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
দক্ষিণ পেরুর ওকুসাজে মরুভূমি সামুদ্রিক জীবাশ্মের আকর হিসেবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে সুবিদিত। এর আগে প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ বছর আগের জীবাশ্মউদ্ধার হয়েছে এই মরুভূমি থেকে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ বার এখানেই প্রায় ৪কোটি বছর আগের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জীবাশ্মের এক বিশাল সম্ভারের সন্ধান পেলেন। তার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাচীন তিমির জীবাশ্মও।
এই ধরনের তিমি অত্যন্ত প্রাচীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পড়ে। কিছুদিন আগেও আমরা পেরুতে এদের অস্তিত্বের কথা জানতাম না। এই প্রাণীটির বেশ সুগঠিত পা ছিল, যার সঙ্গে সম্ভবত এদের স্থলচর স্তন্যপায়ী পূর্বপুরুষদের একটা সাদৃশ্য ছিল। এর দাঁত, এবং অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে স্থলজ প্রাণীদের যথেষ্ট মিল রয়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক রোদোল্ফো সালাস জানাচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই স্থলচর প্রাণীগুলি ক্রমশ জলজ পরিবেশের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে থাকে। ফলে তাদের পা রূপান্তরিত হয়ে যায় পাখনার মতো অংশে। আস্তে আস্তে এদের দেহ সামুদ্রিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং এখনকার তিমি বা ডলফিনের মতো আকার পায়।

.