সুনামির গ্রাসে স্বজনহারা ইন্দোনেশিয়া, মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৪২০
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কালা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। সে দেশের সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে কর্মী, দমকল কর্মী, স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধ্বস্ত পালু শহর। ভূমিকম্পে এলোমেলো বিমানবন্দর। যার জেরে আকাশ পথে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪২০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। ১৪ বছর আগের ভয়াল সুনামির ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।
শুক্রবার প্রবল মাত্রায় ভূকম্প হওয়ায় ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে সুলাওয়াসি দ্বীপের পালু, ডোঙ্গালা শহর-সহ বিস্তৃণ এলাকায়। এই পালুর সৈকতেই একটি অনুষ্ঠানের তোড়জোড় করছিলেন স্থানীয়রা। সুনামির পর সেখানে সারি দিয়ে মৃত দেহ সাজানো রয়েছে। ৩ লক্ষ মানুষের বাস এই পালু শহর। সুনামি এবং ভূমিকম্পের জোড়া ধাক্কায় বিপর্যস্ত জনজীবন। বিদ্যুত সংযোগ নেই। বেশ কিছু জায়গায় সড়কে ধস নেমেছে। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্যান্য শহরের সঙ্গে। ইন্দোনেশিয়ার ক্যাথোলিক রিলিফ সার্ভিসের এক কর্মী ইয়ানি সুরয়ানি জানান, বিমানবন্দর একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু সড়কে ধস নেমেছে। অন্যান্য শহরে ত্রাণ পৌঁছতে ১০-১২ ঘণ্টা ঘুরে যেতে হচ্ছে।
Seems like #Indonesia’s disasters “early warning system” collapsed, people were chanting over the tides like they’re gonna meet a friend. #Tsunami #Palu #PaluTsunami #IndonesiaTsunami pic.twitter.com/ZXMMnktigs
— The Hawks (@TheHawksOps) September 29, 2018
আরও পড়ুন- Video: ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়ল বিশাল সুনামি
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কালা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। সে দেশের সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে কর্মী, দমকল কর্মী, স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকাজের সাহায্যে ভারতও আশ্বাস দিয়েছে বলে জানায় সুষমা স্বরাজের মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি প্রাণ কাড়ল কমপক্ষে ৩৮০ জনের, আরও বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা
উল্লেখ্য, এ দিন রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়। যার জেরে তৈরি হয় এই সুনামি। ভূমিকম্প এবং সুনামির জোড়া তাণ্ডবে ধূলিসাত্ হয়েছে কয়েক হাজার বাড়ি। ধ্বংস হয় হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল। ২০০৪ সালে ভূমিকম্পের জেরে সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া-সহ প্রায় ১২টি দেশে ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। সে সময় রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯.১।