জেল থেকে উদ্ধার একাধিক ধর্ষণ ও পাচারের মামলায় অভিযুক্ত মার্কিন ধনকুবের দেহ
এপস্টেইনের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা চলছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলের মধ্যেই মৃত্যু হল মার্কিন ধনকুবের এবং নাবালিকা পাচার ও ধর্ষণের মামলায় বিচারাধীন বন্দি জেফরি এপস্টেইনের। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ম্যানহাটানের জেলের মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন জেফরি এপস্টেইন। এপস্টেইনের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা চলছিল।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলে রয়েছেন এই মার্কিন ধনকুবের। জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এপস্টেইনের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী করে আত্মঘাতী হলেন এপস্টেইন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Jeffrey Epstein dies in 'apparent suicide' in New York jail
Read @ANI Story | https://t.co/wiS8Xzpd50 pic.twitter.com/6CZW0LZztc
— ANI Digital (@ani_digital) August 11, 2019
দিন কয়েক আগেই নিউইয়র্কের একটি আদালতে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে চলা একটি মামলার শুনানি ছিল। ওই দিন আদালতে জামিনের আবেদনও জানান এপস্টেইন। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। জানা গিয়েছে, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অন্তত ৪৫ বছর কারাদণ্ড প্রায় নিশ্চিত ছিল ৬৬ বছরের এপস্টেইনের।
আরও পড়ুন: পাশে চিন! কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার হুমকি পাকিস্তানের
২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডার ম্যানহাটান এবং পাম বিচ এলাকায় নিজের বাড়িতে একাধিক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জেফরে এফস্টেইনের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীদের ধর্ষণের পর সেখান থেকেই তাদের অন্যত্র পাচারের অভিযোগও রয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই এফস্টেইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা শুরু হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী করে জেলের মধ্যে আত্মঘাতী হলেন এপস্টেইন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।