অস্ট্রেলীয় কবির ভাঁড়ার থেকে উদ্ধার ১২০ বছর পুরনো চকোলেট, খোঁজ মিলতেই হইচই
এত বছর অক্ষত অবস্থায় আছে? এই জিজ্ঞাসা অস্ট্রেলিয়ার নাশন্যাল লাইব্রেরির সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদেরও
নিজস্ব প্রতিবেদন : ১২০ বছর বয়সী চকোলেট। না, কোনও ফসিল নয় একেবারে ঠিকঠাক চকোলেট। এই চকোলেট পাওয়া গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। অজি কবি বাঞ্জো প্যাটারসনের সংরক্ষিত জিনিসপত্রের মধ্যে এই প্রবীণ চকোলেটের হদিস মিলেছে। এখন এই বুড়ো চকোলেট আছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় লাইব্রেরিতে।
প্রশ্ন হল, কি এমন জিনিস দিয়ে এটা তৈরি এটা? এত বছর অক্ষত অবস্থায় আছে? এই জিজ্ঞাসা অস্ট্রেলিয়ার নাশন্যাল লাইব্রেরির সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদেরও। তাঁদের দাবি, টিনের বাক্সের মধ্যে থাকা ১২০ বছরের চকোলেটটি সাধারণ ক্যাডবেরি দিয়েই তৈরি। এমনকি এর প্রত্যেক খাঁজ এক্কেবারে স্পষ্ট। চকোলেট বারের ওপর খোদাই করে লেখা নামও সব পরিষ্কার। টিনের বাক্সের অবস্থা খানিক পরিবর্তন হলেও বাদবাকি সব ঠিকঠাক।
অস্ট্রেলিয়ার কবি ব্যাঞ্জো প্যাটারসনের অনেক কবিতা বেশ জনপ্রিয় ছিল। 'দ্য মান ফরম স্নোয়ি রিভার' ও 'ক্যালসি অফ দ্য ওভার ফ্লো' তাঁর খুব বিখ্যাত কবিতা। ব্যাঞ্জোর লেখা ওয়াল্টজিং ম্যাটিলডা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের মতই লোকমুখে ফেরে আজও। অস্ট্রেলিয়ার ১০ডলার নোটেও এই বিখ্যাত কবির ছবি আছে কিন্তু অনেকেরই অজানা, এই কবি ছিলেন ২য় বোর ওয়ারের সাংবাদিক।
এই বোর যুদ্ধে একদিকে ছিল ব্রিটিশরা এপরদিকে সাউথ আফ্রিকান রিপাবলিক ও ওরেঞ্জ ফ্রি স্টেটস। সেই ১৮৯৯ সালে শুরু হওয়া ২য় পর্বের বোর যুদ্ধে রানি ভিক্টোরিয়া সেনা বাহিনীকে চাঙ্গা করার জন্য চকোলেট পাঠিয়েছিলেন। চকোলেন সংস্থার কর্ণধার যুদ্ধ বিরোধী ছিলেন। প্রথমে নিমরাজি থাকলেও কুইন কমিশনকে এই চকোলেট ডোনেট করা হয়।যুদ্ধক্ষেত্রে চকোলেট না হয় পাঠানো হল, কিন্তু গলে যাবে নাতো! এই ভেবেই টিনের বাক্সগুলি আলাদা ভাবে কেনা হয়। সেই টিনের বাক্সে প্যাক করে পাঠানো হয় যুদ্ধ ক্ষেত্রে। সেখান থেকেই অজি কবি ব্যাঞ্জোর হাতে পৌঁছায় চকোলেট।